নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ-কসোভো প্রজাতন্ত্রের মধ্যকার বাণিজ্য যোগাযোগ, রপ্তানি পণ্য এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বুধবার স্পিকার তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভো প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত গুনের উরেয়া বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় তারা সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক বিনিময়, আন্তঃসংসদীয় সহযোগিতা, কসোভোর স্বাধীনতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে কসোভোর সম্পর্কসহ স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য যোগাযোগ একই সঙ্গে শুরু করেছিলেন। কসোভোর মতো বাংলাদেশও স্বাধীনতা পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে।
স্পিকার বলেন, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ এবং আন্তঃসংসদীয় সহযোগিতা বাংলাদেশ-কসোভো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে পারে। এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য যোগাযোগ, রপ্তানি পণ্য এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে তার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময়ই কোভিডের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত গুনের উড়েয়া বলেন, বাংলাদেশ কোভিড অভিঘাত অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। কসোভো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্যপদ পেতে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে।
এ সময় স্পিকার রাষ্ট্রদূত গুনের উরেয়ার ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সাফল্য কামনা করেন। রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সহকারী আকন্দ সুরিদসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।