ফের কুয়েতি সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল। তার বিরুদ্ধে ঘুষের মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগে কুয়েতের দুই নাগরিককে ৫ বছর করে কারাদণ্ড এবং ১.৩৬ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার জরিমানা করেছিল কুয়েতের আপিল আদালত। সম্প্রতি সেই রায় পাল্টে দিয়েছে দেশটির কোর্ট অব ক্যাসেশন বা রদকরণ আদালত।
কুয়েতি সংবাদমাধ্যম আল-কাবাস ডেইলির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট মাজেন আল-জাররাহ এবং নাওয়াফ আল-শালাহিকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিল আপিল আদালত। তবে কোর্ট অব ক্যাসেশন বা রদকরণ আদালত সেই রায় বাতিল করেছে।
আদালত জানিয়েছে, এই দণ্ড বাতিলের অর্থ এই নয় যে তারা দোষী নয়। তারা অবশ্যই দোষী। কিন্তু যেহেতু তারা এ সংশ্লিষ্ট প্রথম মামলায় ৭ বছর কারাদণ্ডাদেশ পেয়েছেন তাই একই অভিযোগে তাদের নতুন করে দণ্ড দেয়া যাবে না।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে ওয়ায়েল আল আতিকির নেতৃত্বাধীন আপিল আদালত এই মামলায় দোষী হওয়ায় মাজেন আল-জাররাহ এবং নাওয়াফ আল-শালাহিকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেয়। এছাড়া ১.৩৬ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার জরিমানাও করা হয়।
মামলার শুনানির সময় পাবলিক প্রসিকিউশন বলেছেন, অভিযুক্তরা চেকের মাধ্যমে ৮ লাখ ৬০ হাজার কুয়েতি দিনার মানি লন্ডারিং করেছে, যা ঘুষ ছিল।
এ মামলাটি অর্থ পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশি এমপির মামলার দ্বিতীয় শাখা হিসেবে বিবেচিত হয়। মানবপাচার, অর্থপাচার ও কর্মী শোষণের অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ জুন সংসদ সদস্য পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের গোয়েন্দা সদস্যরা।
উল্লেখ্য, দণ্ডপ্রাপ্তরা বর্তমানে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।