চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। শরীর ফুলা, পেট ব্যথা ও ডায়রিয়াসহ নানা নতুন উপসর্গ পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের মধ্যে। এছাড়া জেলায় মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে ১৪ জনই শিশু; আক্রান্তের হারও ২৫ শতাংশের বেশি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় সহজেই কাবু হচ্ছে শিশুরা বলে জানান চিকিৎসকরা।
সিভিল সার্জনের তথ্য মতে, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ২৫ জনের মধ্যে ১৪ জনই শিশু। আর আক্রান্তের হার ২৫ শতাংশের বেশি। পেট ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত, ডায়রিয়া ও শরীর ফুলাসহ নানা নতুন নতুন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি শিশুর স্বজনরা জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর কান্না যেন থামছেই না। ছোট্ট শিশুরা জ্বর, বমিসহ ডেঙ্গুর নানা উপসর্গের যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশ করতে না পারলেও ঠিকই অনুভব করছেন তাদের মা। তাই সন্তানের কষ্টের ছোঁয়া মায়ের চোখে মুখেও। চট্টগ্রাম মেডিকেলের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসা নেয়া ২১ শিশুর সব মায়ের একই অবস্থা।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, শিশুরা সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু জ্বরের ঝুঁকিতে রয়েছে। উপসর্গ হিসেবে শিশুদের প্রচণ্ড জ্বর হচ্ছে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। এছাড়া মশা সম্পর্কে না জানায় মৃত্যু ও আক্রান্ত বেশি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রথম তিন দিনের পরে ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে জটিলতা দেখা দেয়।
গত ১৭ জুলাই মাত্র ১০ মাস বয়সী রাজশ্রী ও এর আগে ৪ জুলাই শ্রাবন্তির মৃত্যু নাড়া দিয়েছিল পুরো নগরবাসীকে।