বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দুই ম্যাচের সূচি পরিবর্তন করতে যাচ্ছে আইসিসি। আহমেদাবাদে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পাশাপাশি বাবর আজমদের আরও একটি ম্যাচেরও সময় পরিবর্তন করবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ভারত ও পাকিস্তান- দুই দেশের অনুরোধেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশ দুটির গণমাধ্যম। তবে কেন বারবার পাকিস্তানের বিশ্বকাপ সূচিতে পরিবর্তন আসছে?
ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বাজার বলেই হয়তো এখনও বিষয়টা নিয়ে একেবারে নিশ্চুপ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কারণ, অতীত ইতিহাস বলছে আইসিসির যেকোনো বৈশ্বিক ইভেন্টের অন্তত বছরখানেক আগেই এর সূচি জানিয়ে দেয় আয়োজক দেশ, যাতে দলের পাশাপাশি সমর্থকরাও পরিকল্পনা সাজাতে পারেন, কোথায় কিভাবে ম্যাচ উপভোগ করবেন তারা।
কিন্তু ভারত বিশ্বকাপের দুই মাস বাকি থাকতেও, এখনও কেউ জানে না কবে কখন হবে কোন দলের ম্যাচ। আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ শুরুর ১০০ দিন আগে একটা সূচি প্রকাশ করেছিল বিসিসিআই। কিন্তু ক’দিন যেতে না যেতেই তাদের টনক নড়ে আহমেদাবাদ পুলিশের এক কথায়। ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া ভারত-পাকিস্তান মহারণে নিরাপত্তা দিতে অপারগতা জানায় তারা। মূলত, একই দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নবরাত্রি উৎসব থাকায় ম্যাচ সূচি পরিবর্তনের অনুরোধ করেন তারা। আইসিসিকে বিষয়টি জানায় বিসিসিআই।
স্বাভাবিকভাবেই আবারও শুরু হয় সূচি বদলের কার্যক্রম। কিন্তু এ ঘটনারও পেরিয়ে গেছে সপ্তাহখানেক। কিন্তু এখনও আসেনি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তবে পাকিস্তানি গণমাধ্যমের দাবি, পিসিবিকে একটা খসড়া সূচি জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। সেখানে পাকিস্তানের অনুরোধে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়াও বদল হয়েছে আরো দুই ম্যাচের সূচি।
১৫ অক্টোবরের ম্যাচটি এখন অনুষ্ঠিত হবে ১৪ অক্টোবর। ম্যাচ ভেন্যু এবং সময় থাকছে আগেরটাই। এছাড়া বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ১২ অক্টোবর, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। কিন্তু নতুন সূচিতে বদলে যাবে সে ম্যাচের তারিখও। সূত্র বলছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হায়দ্রাবাদে ১০ অক্টোবর ম্যাচটি খেলবে বাবর আজমরা। আরও একটি ম্যাচ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচটি ৬ অক্টোবর থেকে সরিয়ে দেয়া হলে কোন তারিখে অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো জানায়নি আইসিসি। ধারণা করা হচ্ছে, দ্রুতই চূড়ান্ত সূচি আবারও প্রকাশ করবে ক্রিকেট কর্তারা।
এদিকে, সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পথে থাকলেও বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তান ভারতে যাবে কিনা সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো জানায়নি দেশটির সরকার। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নিয়োগ দেয়া উচ্চতর রিভিউ কমিটির পক্ষ থেকেও আসেনি কোনো গ্রিন সিগন্যাল। বিশ্বকাপের আগে নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করেই সে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।