দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) চিকিৎসা কেন্দ্রে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা সাইকোলজিস্ট নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তবে এখনো কোনো চিকিৎসক পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় অর্গানোগ্রামে নতুন সংযুক্তি করে দ্রুতই একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বছর ৩০ মার্চ শেকৃবি শিক্ষার্থী মারিয়া রহমানের আত্মহত্যার ঘটনার পর বেশকিছু দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের দাবি জানায় তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ বিবেচনায় এনে দ্রুতই একজন সাইকোলজিস্ট আনা হবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় অর্গানোগ্রামে না থাকায় একটু সময় লাগতে পারে বলেও জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সাইকোলজিস্টের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাস্তুরা জান্নাত রিশা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সবাই বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে আসে। তবে সেশনজট, দ্রুত সেমিস্টার শেষ এর চাপ, চাকরি না পাওয়াসহ বিভিন্ন হতাশায় আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়েই মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার কিংবা ওয়ার্কশপের পাশাপাশি একজন পার্মানেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট থাকা আবশ্যক।
তিনি বলেন, শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আমরা যতটা সচেতন, তার খুব কম পরিমাণই গুরুত্ব দিই মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে। এখনই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ না নিলে দিন দিন এই ডিপ্রেশন রোগ মহামারি আকারে রূপ নিতে সময় লাগবে না।
শেকৃবি শিক্ষার্থী মারিয়া মৃত্যু ঘটনার চার মাস পার হলেও এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞকেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, আমরা একজন সাইকোলজিস্ট নিয়োগের বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনায় রেখেছি। ভর্তি পরীক্ষার শেষেই আমরা এটিসহ আরো বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দ্রুতই একজন সাইকোলজিস্ট পেয়ে যাব।