মাদারীপুরের শিবচরে সাদিয়া আক্তার নামে এক তরুণীকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামী সুমন শিকদারের বিরুদ্ধে। অ্যাসিডে ওই তরুণীর মাথা মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। বুধবার রাত ১১টার দিকে ওই তরুণীকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ৪ বছর স্পিডবোট চালক সুমন শিকদারের সঙ্গে সাদিয়ার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক শিশু কন্যা সন্তানও রয়েছে। সুমন মাদকসেবী হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। সম্প্রতি এ দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করলে তাদের তালাক হয়ে যায়। কিন্তু তালাকের পরও মাদকাসক্ত সুমন দফায় দফায় সাদিয়ার বাবার বাড়িতে হামলা চালান। এ নিয়ে সাদিয়া থানায় অভিযোগ করলে শিবচর থানার এসআই ইজারত হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পুলিশ সুমনের বাড়িতে গিয়ে তাকে শাসিয়েও আসে।
এদিকে, আগামী সপ্তাহে অন্যত্র বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সাদিয়ার। এ নিয়ে সুমন খুব ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বুধবার রাত ১০টার দিকে সুমন কয়েকজনকে নিয়ে সাদিয়ার ওপর অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে। এতে সাদিয়ার মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। পরে স্বজনরা সাদিয়াকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
সাদিয়ার বড় বোন বলেন, আমার বোন মেয়েকে নিয়ে খেলছিল। এমন সময় ওর মাথায় অ্যাসিড ঢেলে দেয় সুমন। ওর মাথাসহ শরীর ঝলসে গেছে। আমরা এর বিচার চাই।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আশিকুর রহমান বলেন, আক্রান্ত নারীর মাথা-মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে গেছে। পোড়ার ধরণ দেখে অ্যাসিড মনে হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
শিবচর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।