ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও কে সি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খসরু চৌধুরী সিআইপি বলেছেন, স্বাধীনতার মহানায়কের শাহাদাতবরণের দিনটি যেমন শোকের, তেমন শোককে শক্তিতে পরিণত করারও। ১৫ আগস্টের ঘটনা ছিল মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফল। জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদারদের ভাড়াটে চরেরা প্রকারান্তরে বাঙালি জাতির আত্মাকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িকতা ও দ্বিজাতিতত্ত্বের বিভেদ নীতিকে কবর দিয়েছিল। তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়াস চলে ১৫ আগস্টের পর থেকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত-বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকালে রাজধানীর উত্তরখান মাজার এলাকায় ৪৫ ও ৪৬ নং ওয়ার্ড কেসি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। ১৯৯৬ সালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল হয় দেশবাসীর প্রত্যাশার পরিপূরক হিসেবে। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং খুনিদের ছয়জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতির হৃদয় থেকে তাঁর আদর্শ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলেছিল। বিবেক বিক্রেতা খুনিদের সে অপচেষ্টা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধু নেই কিন্তু তাঁর অপরাজেয় আদর্শ টিকে আছে অমরত্বের অনুষঙ্গ হয়ে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেসি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক মো. শাহ আলম, মোন্তাজ হোসেন মিঠুসহ ঢাকা মহানগর ও ঢাকা ১৮ আসনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।