দ্বিপক্ষীয় সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। শুক্রবার দুপুর দেড়টার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ফ্লাইটে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন ল্যাভরভ।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন লাভরভ।
রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটি প্রথম ঢাকা সফর। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যাভরভকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বিমানবন্দর থেকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকার একটি হোটেলে এসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। প্রায় ঘণ্টা-খানেকের বৈঠক শেষে মোমেন-ল্যাভরভ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।
শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মস্কোর সঙ্গে ঢাকার গভীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশও ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ল্যাভরভের উপস্থিতিতে স্পষ্ট ভাষায় ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পরাশক্তিগুলোর প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ এ অঞ্চলে ছায়া যুদ্ধ দেখতে চায় না। বাংলাদেশ সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সংকট সমাধানের পক্ষে।
অন্যদিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রতি মস্কোর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপের পরও জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন ল্যাভরভ।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিকসহ সব স্তরে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী রাশিয়া।
পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলন শেষে নৈশভোজে অংশ নেন মোমেন-ল্যাভরভ। খাওয়ার টেবিল তারা জাতিসংঘ, আঞ্চলিক ও অন্যান্য বৈশ্বিক ফোরামে সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন ল্যাভরভ শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।