বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
গণতন্ত্রের সৌন্দর্য রক্ষা করতে চাই – আমিনুল হক আওয়ামী লীগ সচল নাকি নিষিদ্ধ থাকবে, সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: রিজভী শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন প্রত্যাহার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি শুরু প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ১১.১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি জানুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের ভোটের মাঠে ৮ দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রাখার প্রস্তাব : ইসি সচিব

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুন: ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ান

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১০৯ বার পঠিত

দয়াল কুমার বড়ুয়া, কলামিস্ট ও জাতীয় পার্টি নেতা, সভাপতি, চবি অ্যালামনাই বসুন্ধরা। সংসদ সদস্য প্রার্থী ঢাকা-১৮ আসন

আবার আগুনে পুড়ল মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট। মধ্যবিত্তের বাজার হিসেবে এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত এই বাজার রাজধানীর বড় চালের আড়ত। বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ৪৩ মিনিটে লাগা আগুন ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে বাজারে অনেক দোকানই পুড়ে ছাই।

ভেতরে মালপত্রও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই মার্কেটের চার ভাগের তিন ভাগে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন নেভানোর পর এক ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এই মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা ছিল।

মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। ছিল না প্রাথমিক ফায়ারফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থা। পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ভাষ্য মতে, মার্কেটে প্রায় ১০০টি দোকান ছিল।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্কেটে অন্তত ৫০০ দোকান ছিল। মার্কেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন লাগা এই মার্কেটে কোনো সেফটি প্ল্যান নেই। মার্কেটটিতে বারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে গণসংযোগ করা হয়েছে।

সচেতনতার প্রগ্রাম যেভাবে করা হয়েছে, মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সেভাবে পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোওয়াট ধারণক্ষমতা থাকলেও অতিরিক্ত লোড দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়ে আসছিল মার্কেটে। পুরো মার্কেট টাইট কলাপসিবল গেট দিয়ে আটকানো থাকায় ভেতরে ফায়ারফাইটারদের প্রবেশ করাতে বেগ পেতে হয়েছে। তালা ভেঙে এবং গেট ভেঙে আমাদের ভেতরে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে হয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে আরো কিছু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সাযুজ্য কিন্তু দেখা যায়। গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজারে আগুন লাগে সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে। ১৩ এপ্রিল পুরান ঢাকার নবাবপুরে একটি গুদামে আগুন লাগে রাত ১০টা ৮ মিনিটে। ১৫ এপ্রিল রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগে ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুনের সূত্রপাতও ভোররাতে। স্বাভাবিকভাবেই রাতে বা ভোররাতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, বিষয়টি খাটো করে দেখার কোনো কারণ নেই। খতিয়ে দেখাটা অতীব প্রয়োজন। একের পর এক কেন আগুন লাগছে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুনের ঘটনা কি অসতর্কতার জন্য ঘটেছে, নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে—এই প্রশ্নের জবাব পাওয়াটা জরুরি। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ষড়যন্ত্র বা নাশকতা কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর উৎস সন্ধানের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে।

ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়। অনেকেই পথে বসে গেছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com