শরীয়তপুরে নিখোঁজের পাঁচমাস পর ধানক্ষেত থেকে রাকিব হোসেন বাবু নামে এক যুবকের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর বিলাশ খান গ্রামের সুমন চৌকিদারের বাড়ির পাশের ধানক্ষেত থেকে মরদেহের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাকিব হোসেন বাবু শরীয়তপুরের পালং ইউনিয়নের নরবালাখানা এলাকার নুর ইসলাম মোল্লার ছেলে। রাকিব শহরের সিদ্দিক কসাইর মাংসের দোকানে শ্রমিকের কাজ করতেন।
জানা যায়, রাকিব চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল ঈদের জামা কেনার জন্য তার বন্ধু জুবায়ের, রায়হান, মুন্নার সঙ্গে সন্ধ্যায় ইফতার শেষে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর অনেক রাত হয়ে গেলেও রাকিব বাড়ি ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে। তাকে না পেয়ে ১৯ এপ্রিল পালং মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন রাকিবের বাবা।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উত্তর বিলাশখান গ্রামের সুমান চৌকিদারের বাড়ির পূর্ব পাশের ধানক্ষেতে শিশুরা বক পাখির সন্ধানে বের হয়ে হাড়গোড় দেখতে পায়। এরপর শিশুরা চিৎকার করলে স্থানীয়রা শরীয়তপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিলাল হোসেন খানকে জানায়। পরে বিল্লাল খান পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হাড়গোড় উদ্ধার করে। তবে মরদেহটির মাথা খুঁজে পায়নি পুলিশ। উদ্ধারের সময় হাড়গোড়ের পাশে রাকিব-৭ লেখা একটি জার্সি ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। ওই জার্সি দেখে রাকিবের পরিবার পুলিশকে জানায় এই মরদেহ রাকিবের।
রাকিবের বাবা নুর ইসলাম মোল্লা বলেন, আমার ছেলে ঈদের মার্কেট করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। দীর্ঘদিন আমি পথে পথে আমার ছেলেকে খুঁজেছি। যারা আমার ছেলেকে মেরেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আমি আমার ছেলের খুনিদের ফাঁসি চাই।
পালং মডেল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে একটি মরদেহের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই হাড়গোড়ের পাশে পাওয়া একটি জার্সি দেখে নুরুল ইসলাম নামে একজন দাবি করেছে মরদেহটি তার ছেলের। মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষার পর মরদেহটির পরিচয় জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।