নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোলা-৩ আসন (লালমোহন-তজুমদ্দিন) এর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন দ্বীপবন্ধু খ্যাত বর্তমান সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। সন্ত্রাস , চাঁদাবাজ ও দখলবাজ মুক্ত করে লালমোহন তজুমদ্দিনের অবহেলিত জনপদকে শান্তির নীড়ে পরিনত করেছেন। জনগনের খোঁজ খবর নিতে একাই মোটর সাইকেল চালিয়ে ছুটে চলেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের শতভাগ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। দিনের ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টাই জনসেবায় ব্যায় করছেন। দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের সমস্যা সমাধানের চেস্টা করেন। তিনি জনগণের কাছে যান, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা বলেন, ভোট চান, জনগণের সুযোগ-সুবিধা দেখেন । একজন আদর্শিক নেতা হিসেবে সাধারন জনতার আস্থা অর্জন করেছেন। আর নানান গুনের কারনে লালমোহন-তজুমদ্দিন এখন আওয়ামী লীগের ঘাটিতে পিরনত হয়েছে।
২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। অল্প সময়ে লালমোহন-তজুমদ্দিনের উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের নজড় কাড়তে সক্ষম হন এই কর্মীবান্ধব নেতা। সু-সংগঠিত করেন দলীয় কার্যক্রম, প্রাণ খুঁজে পায় দলীয় নেতা-কর্মীরা।
নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন একজন নীতিবান রাজনীতিবীদ। তিনি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন না। নীতি ও আদর্শ দিয়ে তিনি নেতা কর্মীদের মনে আদর্শিক নেতা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন । তার মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে তিনি লালমোহন ও তজুমুদ্দিনের আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন গুলোকে ঢেলে সাজিয়েছেন।
স্থানীয় ত্যাগী ও প্রবীণ নেতারা বলেন নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন একজন কর্মী বান্ধব নেতা, সে যেখানেই যায় তার সাথে স্থানীয় শত শত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে। নিরহংকারী এই নেতার আচার আচরণে মুগ্ধ সাধারন মানুষও। তার যোগ্য নের্তৃত্বে লালমোহন – তজুমুদ্দিনের আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন এর মধ্যে কোন বিভেদ নেই। তারা আরো জানায়,স্থানীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়নসহ তিনি দলীয় সকল রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।এলাকার সাধারন মানুষের একটাই আওয়াজ ‘জনতার নেতা শাওন ভাই, বিপদে আপদে যাকে কাছে পাই’।
দলমত নির্বিশেষে লালমোহন-তজুমদ্দিনের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করছেন এমপি শাওন। শিক্ষা খাতে রয়েছে এমপি শাওনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও নতুন ভবন নির্মানসহ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখেন।
শুধু সাংগঠনিক নেতা কর্মী সমর্থকই নয়, লালমোহন তজুমদ্দিনের আলেম সমাজ, মুরব্বী, উচ্চবিত্ত থেকে নিন্ম আয়ের সকল মানুষের কাছেও প্রিয় মানুষ হয়ে উঠা জন দরদী ও জন নন্দিত নেতার নাম এমপি শাওন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরীতেও অবদান রেথেছেন নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। তথ্য প্রযুক্তির সেবা জনগনের কাছে পৌঁছে দিতে আইসিটি ফ্রি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করেন। অবহেলিত এই অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় এখন পৌছে গেছে বিদ্যুৎ। সন্ধ্যার পরই আলোকিত হয়ে ওঠছে গ্রামের প্রতিটি ঘর দুয়ার।
লালমোহন ও তজুমুদ্দিনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ ও মাদকমুক্ত করতে লালমোহন থানার কার্যক্রম জোড়ালো করার পাশাপাশি আরো ২ টি পুলিশ ফাঁড়ি করেন তিনি। শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দুরে রাখতে পড়া লেখার পাশা পাশি খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ সৃস্টির লক্ষে নিরলস কাজ করছেন।
এ উপজেলায় কয়েকটি দূর্ঘম চরঅঞ্চলকে জনবসতি হিসেবে গড়ে তোলা এবং তাদের নিরাপদ বাসস্থানের জন্য ব্যাপক উন্নয়নকরেন।পরপর ৩ বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন লালমোহন-তজুমদ্দিনের মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থাকায় সাধারণ মানুষ তাকে “দ্বীপবন্ধু” উপাধিতে ভূষিত করেছেন।
আগামী নির্বাচনে ভোলা-৩ আসনে (লালমোহন-তজুমদ্দিন) সরকার দলীয় আওয়ামীলীগের অন্যান্য প্রার্থীরা মনোনয়নের জন্য দৌড় ঝাপ করলেও মাঠ পর্যায়ে তাদের কোন অস্তিত্ব নেই। জনবিচ্ছিন্ন এসব নেতারা নিজেদের সুবিধা হাসিলে ব্যস্ত। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এ আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকেই আবার মনোনয়ন দিবে বলে মনে করেন এখানকার জনগণ।