সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। তীরে আছড়ে পড়ছে উঁচু উঁচু ঢেউ। এ কারণে পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে ঝুঁকি এড়াতে নিরপদে আশ্রয় নিয়েছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৫ ঘণ্টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেঘমালার প্রভাবে গত দুদিন ধরে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যে কোনো সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সব মাছধরা ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
তবে এখনো গভীর সাগরে বেশ কিছু মাছধরা ট্রলার অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
তারা জানান, ইতোমধ্যে সকাল থেকে মহিপুর আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে শত শত মাছ ধরার ট্রলার নিরাপদে আশ্রয় নিতে শুরু করছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টায় বষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলে তীব্র বাতাস এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।