আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সর্বত্র আলোচনায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি। পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস ক্লাব সব জায়গায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু এখন তিনি।
বিশেষ করে ১৪ অক্টোবর রাজধানীর কাওলা সিভিল এভিয়েশন মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় লাল রঙের টিশার্ট পরে তার অনুসারীদের অংশগ্রহণ সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। জনসভায় লাল রঙের টিশার্ট পরে তার লাখো অনুসারী অংশ নেয়। পুরো মাঠ ভরে যায় লাল রঙের টিশার্ট পরা নেতাকর্মীতে। সেদিন থেকে সকলের মুখে শোনা যাচ্ছে লাল রঙের জয়োগান।
খসরু চৌধুরী ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত গণসংযোগ, পথসভা ও উঠোন বৈঠক করছেন। সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরছেন। নিজের ভাগ্য নয়, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজ কাজ করছেন। তাই আসন্ন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসেবে খসরু চৌধুরীকে এগিয়ে রাখছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বৃহত্তর উত্তরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন বলেন, দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় ধরে খসরু চৌধুরী ঢাকা-১৮ আসনের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তার প্রতিষ্ঠিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কে সি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিম্নআয়ের অসহায় মানুষ, কর্মহীন, বেকার জনগোষ্ঠী, ফুটপাত ও বস্তিতে থাকা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময়ে ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডে কে সি ফাউন্ডেশনের কর্মী বাহিনীদের নিয়ে ত্রাণ তৎপরতা চালিয়েছেন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিটি শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তিনি মাসব্যাপী আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রতি বছর শীতের সময় তার পক্ষ থেকে ঢাকা-১৮ আসনের সাতটি থানা ও ১৪টি ওয়ার্ডের হাজার হাজার পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন। ১৪ অক্টোবর রাজধানীর কাওলা সিভিল এভিয়েশন মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় হাজার হাজার অনুসারী নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। ঢাকা-১৮ আসনে যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে সেখানেই পৌঁছেছে খসরু চৌধুরীর সহযোগিতা। নিজস্ব অর্থায়নে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল করে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। ঢাকা-১৮ আসনের দক্ষিণখান ও উত্তরাখানে তার মালিকানাধীন নিপা গ্রুপে ৩০ হাজারেরও অধিক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। প্রায় জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হলে ঢাকা-১৮ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে যোগ্য খসরু চৌধুরী সিআইপি।
সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের জনপ্রিয় নেতা খসরু চৌধুরী সিআইপি। তিনি জনবান্ধব, কর্মীবান্ধব, দলবান্ধব আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, নীতি-নৈতিকতার চর্চা করেছেন। অসহায় গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে সারাবিশ্বে অনন্য এক মডেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে সারাবিশ্বে অনন্য এক মডেলে পরিণত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে বাংলাদেশের। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ, এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণের কারণে। তার সাহসী এবং গতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে গেছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন সহযোগি হতে চাই। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবো। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। আমি ঢাকা-১৮ আসনকে স্মার্ট আসন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।