সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

বঙ্গবন্ধুকে ডক্টর অব ল’জ উপাধি দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৩৫ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডক্টর অব ল’জ উপাধিতে ভূষিত করার যে সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে, তা একইসঙ্গে ঐতিহাসিক, তাৎপর্যপূর্ণ এবং সবিশেষ প্রশংসাযোগ্য।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বৃহস্পতিবার ডক্টর অব ল’জ উপাধি প্রদান উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে ডক্টর অব ল’জ ডিগ্রি প্রদান করা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রাকেই স্বীকৃতি প্রদান করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ মহতী উদ্যোগ সফল হোক। এর মাধ্যমে জাতি হিসেবে আমরা কিছুটা হলেও পিতৃঋণ স্বীকারে সক্ষম হবো।

তিনি আরো বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে এ উপমহাদেশে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না- এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং কালক্রমে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত বহু আন্দোলনের সাক্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ’৫২-এর জাতির ভাষাভিত্তিক স্বাতন্ত্র্য চেতনা রক্ষার ভাষা আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত ’৬৬এর ছয় দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্ত্বশাসন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন সম্মুখযোদ্ধা। জাতির পিতার আহ্বানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। স্বাধীনতাপরবর্তী সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ মহিরূহ বিদ্যায়তন প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত অনন্য দক্ষতা, মনন ও মানবিকতায় অভূতপূর্ব সংশ্লেষ ঘটিয়ে সমগ্র দেশকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পরিপুষ্ট করে চলেছে।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে বর্তমান সরকার। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন সংকট নিরসন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে আরো উন্নত গবেষণার মাধ্যমে যেকোনো সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সব শাখায় এগিয়ে যাবে। জ্ঞান ও আলোর পথের অভিযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন দিগন্ত তৈরি করবে।

তিনি বলেন, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com