আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উদ্বোধন হচ্ছে আজ বুধবার (১ নভেম্বর)। সকাল ১১টার দিকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে যৌথভাবে আন্তঃসীমান্ত ডুয়েলগেজ রেললাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর জাবের বিন জানান, দুই দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এই রেলপথ। এই স্থানটিতে ভবিষ্যতে বিজিবি কী ধরনের দায়িত্ব পালন করবে সে লক্ষ্যে বিজিপির পক্ষ থেকে একটি প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমও পরিচালনা করা হয়েছে।
আখাউড়া আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিঞা বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই রেলপথের চূড়ান্ত অপারেশন ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। এই রেলপথ নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যে সাতটি অঙ্গরাজ্য আছে সেগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। এতে দুই দেশই লাভবান হবে।
গঙ্গাসাগর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এই রেলপথের মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনেকটাই গুরুত্ব বহন করবে। যাত্রী পরিবহন শুরু হলে উভয় দেশের মানুষ পর্যটন এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহজে যাতায়ত করতে পারবে।
জানা যায়, সোমবার (৩০ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রেলওয়ের দুই চালকসহ ছয় কর্মকর্তা নিয়ে বাংলাদেশের একটি পণ্যবাহী ট্রেন প্রথমবারের মতো ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার নিশ্চিন্তপুরে পৌঁছায়। এরমধ্যে দিয়ে এই রেলপথটি চূড়ান্তভাবে ট্রেন চলাচলের জন্যে উপযোগী বলে নিশ্চিত করেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
পণ্যবাহী ট্রেনের পাঁচটি বগি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের লাকসাম সেকশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. মঈন উদ্দিন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গঙ্গাসাগর স্টেশন থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার নিশ্চিন্তপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। প্রায় ৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে দুপুর পৌনে ১টার দিকে ট্রেনটি ভারত- বাংলাদেশের শূন্যরেখা শিবনগরে পৌঁছায়। পরে সেখান থেকে ভারতীয় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ট্রেনটি দুপুর ১টার দিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার নিশ্চিন্তপুরে পৌঁছে যায়।