স্বামী ও শিশুকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুরের হাজীরহাট থানার ওসি রফিকুজ্জামান বসুনীয়া।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রংপুর নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ড হাজিরহাট এলাকার রানা (৩৩), জাহেদুল ইসলাম (৩২), বুলু হোসেন (২৫) আলমগীর হোসেন (৩১) ও শামসুল ইসলাম (৩২)।
অভিযোগের বরাতে পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামী পেশায় টোকাই। তারা পুরোনো জিনিসপত্র সংগ্রহ করে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করতেন। শনিবার দুপুর ১টার দিকে রিকশাযোগে স্বামী ও সন্তানসহ (২) তারা কাগজ কুড়াতে বের হন। পথে হাজিরহাটের বটতলা এলাকায় ব্যবসায়ী জাহেদুল ইসলামের মালামাল রাখার ঘরের কাছে পৌঁছালে মামলার নামীয় আসামিরা তাদের চুরির মিথ্যা অপবাদ দেন। একপর্যায়ে তাদের জোর করে রিকশা থেকে নামিয়ে ওই ব্যবসায়ীর ঘরে নিয়ে যান। সেখানে তার স্বামী ও তার কোলে থাকা শিশুকে আলাদা ঘরে আটকে রেখে নামীয় আসামিরা ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় ওই নারী থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
ওসি রফিকুজ্জামান বসুনীয়া জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ঘটনার সঙ্গে ছয়জন জড়িত ছিলেন। হাফিজুল (২৮) নামে ওই ব্যক্তিকেও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।