ঢাকা-১৮ আসনের কেটলি মার্কার প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি বলেছেন, ২০১৬ সালে দক্ষিণখান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত হলেও কাঙ্খিত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। অধিকাংশ সড়ক ভাঙাচোরা। সামন্য বৃষ্টিতেই জমে হাঁটুপানি। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও খুব খারাপ। আছে অপরিচ্ছন্নতা ও মশার যন্ত্রণা। আমি এমপি নির্বাচিত হলে সর্বাগ্রে এ সকল সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবো।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণখানের আজমপুর রেল গেট কাঁচাবাজার এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর তিনি কেসি স্কুল মোড়, প্রেমবাগান, কসাইবাড়ি এলাকায় গণসংযোগ চালান।
এসময় তার সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু, দক্ষিণখান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাসুদুজ্জামান মিঠু, উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা-১৮ আসনের কেটলি মার্কার প্রার্থী খসরু চৌধুরী বলেন, আমি এমপি নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ আসনের নাগরিকদের সিটি কর্পোরেশনের নিকট থেকে প্রাপ্য সকল সুযোগ-সুবিধা সুনিশ্চিত করা হবে। জরুরি ভিত্তিতে ড্রেনেজ ও পয়ঃনিষ্কাশনের পদক্ষেপ গ্রহণ, রাস্তা উন্নয়ন, নির্মাণ ও সংস্কার করা, সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা উন্নয়ন ও গ্যাস প্রবাহ সমস্যার সমাধান করা হবে। মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন ও বিনামূল্যে ওয়ার্ডভিত্তিক ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হবে। মাদক, সন্ত্রাস, ঘুষ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে একটি করে খেলার মাঠ নির্মাণ, মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য শিশু, কিশোর ও যুবকদের মাঝে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রদান করা হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়ন, দরিদ্রদের মাঝে চিকিৎসা সহায়তা ও স্বাস্থ্য ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান। কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে বেকার যুব সমাজের বেকারত্ব দূরীকরণ করা হবে। ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে একটি বয়স্ক পূর্নবাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। অঞ্চলভেদে প্রয়োজনীয়তার নিরিক্ষে সরকারি হাসপাতাল ও কবরস্থান নির্মাণ করা হবে। ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, স্কুল, কলেজ, স্থাপন ও উন্নয়নে কাজ করা হবে। সেক্টর কল্যাণ সমিতিগুলোতে নিয়মিত নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সু-ব্যবস্থা করা হবে। মশক নিধন অভিযান জোরালো করা হবে। কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।