নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর সন্নিকটে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্টিতব্য চলতি বছরের ৫৮তম তিন দিন ব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার আসরের প্রথম পর্বে আজও ৩ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৮ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বাসচাপায় টঙ্গিতে নিহত হয়েছেন পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০)।
আজ রোববার সকালে ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার দুপুরে আরও ৩ জন মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা ইজতেমায় আগত মুসল্লি বা তাবলীগের সাথী। এবারের ইজতেমায় আগত মোট মুসল্লির মৃত্যুর সংখ্যা ১৪। এছাড়া মাঠের বাইরে ইজতেমার কাজে সংশ্লিষ্ট, ইজতেমায় আসার পথে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও আরও ৩ জনসহ মোট ১৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেকেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ ও হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে মারা যান।
শনিবার মারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন, রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার মো. সানোয়ার, চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মো. আলম, নরসিংদীর মো. শাহনেওয়াজ ভুঁইয়া ও সিরাজগঞ্জের আল মাহমুদ। এছাড়া মারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন, শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত শমশের আলীর পুত্র নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের পুত্র আব্দুল কাদের (৫৫), নেত্রকোনা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের পুত্র স্বাধীন (৪৫), নেত্রকোনা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের পুত্র এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের পুত্র শাহ আলম (৬০), জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হজরত আলীর পুত্র মতিউর রহমান (৬০)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় নিহত পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০)। বাকি ৪ জনের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের ইজতেমা মাঠে জানাযা শেষে নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।