শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ আসামির জামিনের মেয়াদ বাড়ল। তবে কতদিন সেটি এখনো উল্লেখ করা হয়নি। পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
রোববার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে পরবর্তী শুনানির জন্যে আগামী ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এদিকে আপিলে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা ড. ইউনূসের। অন্যদিকে আজকের আদেশকে নজিরবিহীন বলছেন আসামিদের আইনজীবী।
এর আগে রোববার সকালে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন। তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ জামিন আবেদন করেছেন। আজ দুপুরের পর এ বিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন রোববার সকাল ১০টায় শ্রম আপিল আদালতে হাজির হবেন। কারণ, সেদিন তাদের এক মাসের জামিনের মেয়াদ শেষ হবে।
তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা করেছে। সেই মামলার চার্জশিট ইতোমধ্যে দাখিল করেছে তারা। একই দিনে সেই মামালার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সেইদিন আদালতে হাজির হবেন।
এর আগে একই দিন (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়েই আপিল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রায় প্রদানকারী বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর স্বাক্ষরিত ২৪ পাতার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। ঐ দিন এ বিষয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল বিভাগে যাচ্ছেন।