ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হাজার ৪৯০ জনে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছে আরো ৭৩ হাজার ৪৩৯ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের অভিযানের নামে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ এবং শিশুরা।
এদিকে গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার জন্য জড়ো হওয়া লোকজনের ওপরও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার উত্তরাঞ্চলে এ ধরনের হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো দেড় শতাধিক মানুষ। এই হামলাকে একটি নতুন পূর্বপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ বলে অভিহিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইসরায়েলের হামলায় এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা। ইসরায়েলের হামলা থেকে বাদ পড়েনি ধর্মীয় স্থাপনাও। ফলে রমজান মাসেও নামাজের স্থান পাচ্ছেন না গাজাবাসী।
গাজার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গাজায় অবস্থিত এক হাজার ২০০ মসজিদের মধ্যে অন্তত এক হাজার মসজিদ পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় ইমাম, মুয়াজ্জিন ও হাফেজসহ শতাধিক ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব নিহত হয়েছেন।
গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রমজান মাসের তারাবিহ নামাজের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ মসজিদগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এমনকি ওযু করার জন্যও মিলছে না পানি।
এদিকে মার্কিন সিনেটর চাক শুমার ইসরায়েলে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলের বর্তমান চরমপন্থী সরকার এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাধা’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।