ঝিনাইদহ জেলার ব্রান্ডিংপণ্য কলা। জেলার ছয় উপজেলার মাঠের পর মাঠজুড়ে এখানকার কৃষকরা ফল ও সবজি হিসেবে কলার আবাদ করে, গড়ে উঠেছে ছয়টির বেশি পাইকার বাজারও। ঝিনাইদহের কলা ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ৪০টির বেশি জেলাতে যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে জেলায় কলা উৎপাদন হবে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫০ মেট্রিক টন যার বাজারমূল্য ৫২১ কোটি টাকারও বেশি।
জেলায় চাঁপাকলা, ধুপছায়া, সবরি, সাগর জাতের কলা খুবই উন্নত এই জাতের কলা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কাঁদির কলা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে হাজার টাকা দরে।
কৃষকরা জানান, ঝিনাইদহে প্রচলিত চাঁপাকলা, সবরি, সাগর কলা, ধুপছায়া, কাঁচকলাসহ বিভিন্ন জাতে কলা উৎপাদন হয়। এসব কলার মধ্যে চাঁপাকলা ও ধুপছায়া কলার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কুমিল্লা অঞ্চলে ধুপছায়া কলা ব্যাপকভাবে চলে।
ঝিনাইদহ পবহাটি কলা হাটের ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন জানান, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নরসিংদী, খুলনা, বরিশাল, নেয়াখালী, ফরিদপুর, কুমিল্লাসহ দেশের ৪০টি জেলার বেশি স্থানে যায় ঝিনাইদহের কলা।
ব্যবসায়ী দিদারুল ইসলাম নিয়মিত কলা কিনে সাতক্ষীরায় পাঠান। তিনি জানান, গড়ে প্রতিদিন ১ লাখ টাকার কলা কিনে থাকেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ঝিনাইদহের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আজগর আলী জানান, ঝিনাইদহে এবার ৫ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫হাজার ৮৫০ মেট্রিক টন কলা। যার বাজার মূল্য ৫২১ কোটি টাকার উপরে। হেক্টর প্রতি কলার গড় উৎপাদন ৩১ মেট্রিক টন, যার দাম ১০ লাখ টাকা । ১ হেক্টর ( সাড়ে সাত বিঘা) জমিতে ২৫শ’ থেকে ৩ হাজার কলা গাছ হয় আর পরিপক্ক কলার কাঁদি হয় ২৫শ’। ১ বিঘা জমিতে ৩শ’ থেকে ৪শ’ কলাগাছ লাগানো যায়।