শুক্রবার খালার বাড়িতে যান আনিকা। সেখান থেকে বান্ধবী রুবাকে নিয়ে মেঘনায় ভ্রমণের জন্য ট্রলারে ওঠেন। এ সময় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ে এক নারীর মরদেহসহ ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় তাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় আরো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ আনিকা নরসিংদীর বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে। তিনি এবার নরসিংদী মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন।
জানা গেছে, শুক্রবার খালার বাড়িতে যান আনিকা। সেখান থেকে বান্ধবী রুবাকে নিয়ে মেঘনায় ভ্রমণের জন্য ট্রলারে ওঠেন। এ সময় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ে এক নারীর মরদেহসহ ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ আনিকার ভাই মেহেদি হাসান বলেন, আমার বোন খালার বাড়িতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তার বান্ধবী রুবার সঙ্গে ভৈরবের মেঘনা নদীতে ঘুরতে যায়। ট্রলারে নদী ভ্রমণের সময়ে হঠাৎ বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। রুবা সাঁতার কেটে প্রাণে বেঁচে ফিরলেও আমার বোন ফিরতে পারেনি।
আনিকার বাবা দারু মিয়া বলেন, ইফতারের পর নামাজ শেষে জানতে পারলাম আমার মেয়ে মেঘনা নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছে। আমি জানতাম আমার মেয়ে তার খালার বাসায় গেছে। ভৈরবে যে তার বান্ধবীর সঙ্গে গেছে সেটি জানতাম না। কয়েকজন উদ্ধার হলেও আমার মেয়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।