আদালত প্রতিবেদকঃযশোরের অভয়নগরের চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র নুরুজ্জামান বাবু হত্যা মামলায় পলাতক আসামি মো. রাজ্জাক পাটোয়ারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
১৫ মে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জুন রাতে নুরুজ্জামান বাবুকে তার বাড়ির পাশের আম বাগানে ডেকে কোমলপানীয়তে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর অচেতন করা হয়। অচেতন অবস্থায় গামছা দিয়ে তার চোখ বেঁধে তাকে অভয়নগরের পুড়াখালী গ্রামের সরকারি বাওড়ের পাশে নিয়ে নাইলনের রশি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ বাওড়ের কচুরিপনার নিচে লুকিয়ে রাখে। ঘটনার পরেরদিন ২ জুন বাবুর মোবাইল থেকে তার বাবার মোবাইলে কল করে অজ্ঞাতপরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. মাজাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জুন রাতে কলেজছাত্র নুরুজ্জামান বাবুকে তার বাড়ির পাশের আম বাগানে ডেকে কোমলপানীয়তে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর অচেতন করে। অচেতন অবস্থায় গামছা দিয়ে তার চোখ বেঁধে তাকে অভয়নগরের পুড়াখালী গ্রামের সরকারি বাওড়ের পাশে নিয়ে নাইলনের রশি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ বাওড়ের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখে।
[ঘটনার পরেরদিন ২ জুন কলেজছাত্র বাবুর মোবাইল থেকে তার বাবার মোবাইলে কল করে অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ২ জুন অভয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ আসামি মো. রাজ্জাক পাটোয়ারীকে আটক করে। আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৪ জুন বাবুর মরদেহ বাওড়ের কচুরিপানা থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত নুরুজ্জামানের বাবা মো. ইমরান গাজী বাদী হয়ে ৪ জুন অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বুধবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান আসামি মো. রাজ্জাক পাটোয়ারীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।