সিটিজেননিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে আবারও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়েছে তাপপ্রবাহ।
গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই তাপপ্রবাহের আজ পঞ্চম দিন। সেই সঙ্গে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী শনিবার (১৮ মে) পর্যন্ত সারা দেশেই বয়ে যেতে পারে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এরপর ৫ থেকে ৬ দিন বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এ অবস্থায় শুধু সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এই তাপপ্রবাহ এপ্রিলের মতো তীব্র না হলেও জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি বিরাজ করছে। শুক্রবার সারাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, শনিবার থেকে চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। তবে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।