সিটিজেন প্রতিবেদকঃ জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল। এ সময় তারা রোগীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। একইসঙ্গে আন্দোলনে আহতদের উন্নত চিকিৎসায় পাশে থাকার পাশাপাশি প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে আহতদের চীন নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের পরিদর্শন শেষে চীনা চিকিৎসক দল এ কথা বলেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ৩৭ জন রোগীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছে চীনা প্রতিনিধি দল। এসময় আহতদের চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধার বিষয়েও তথ্য নেন তারা। সময় ও সুযোগ পেলে আহত সবাইকে চিকিৎসা দেবেন চীনা বিশেষজ্ঞরা। আহতদের কাউকে দেশের বাইরে নিতে হলে তার প্রস্তুতিও রয়েছে তাদের।
চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওপেং বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা আহতদের দেখতে এসেছেন। তারা কীভাবে আহত হয়েছে এবং বর্তমানে তাদের অবস্থা কেমন তা দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশের হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তাদের কি ধরনের উন্নতি হয়েছে তাও দেখা হচ্ছে।
এসময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে ঢামেকে ৩৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন, যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন। চীনা চিকিৎসক দলটি এসব আহতদের দেখেন এবং চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধার বিষয়েও তথ্য নেন। আহতদের কাউকে দেশের বাইরে নিতে হলে তার প্রস্তুতিও রয়েছে তাদের বলে জানান।
এর আগে হাসপাতালটির পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল। এসময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের উন্নত চিকিৎসায় চীন পাশে থাকবে বলে জানায় বাংলাদেশে আসা চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চীনের ১০ সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আহতদের দেখতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতাল এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শন করে। এরই ধারাবাহিকতায় চীনা চিকিৎসক দল মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আহতদেরও দেখতে আসে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা দিতে ঢাকায় আসে চীনা মেডিকেল টিম। এতে রয়েছে চীনা চিকিৎসক ডং কুইআনের নেতৃত্বে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।