সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কমান্ডার ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, র্যাব-১ এর অধিনায়ক। উপস্থিত ছিলেন দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার ও হাজী ক্যাম্প আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার। আরো উপস্থিত ছিলেন উত্তরা বিভাগের উপ- পুলিশ কমিশনার রওনক জাহান । এছাড়াও শ্রীশ্রী দূর্গাপূজা কমিটির প্রতিনিধিসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
দিয়াবাড়ীতে শারদীয় দুর্গা পুজা উপলক্ষে করণীয় শীর্ষক আয়োজিত সমন্বয় সভায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেন। যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি অথবা নাশকতা সৃষ্টি হলে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুজা মন্ডপ গুলোতে সেনাবাহিনীর হট লাইন নাম্বার দেওয়া হবে বলে তারা নিশ্চিত করেন। এ সময় শারদীয় দুর্গা পুজাকে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা করা হয়।
পূজা কমিটির সদস্যদের নিকট পূজা মন্ডপ সংক্রান্ত কোন ধরনের ঝুঁকি অথবা নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতামত বা সুপারিশ আছে কিনা জানতে চায় সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী পক্ষ থেকে জানানো হয় দুর্গাপূজার সময়, পুজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পূজা মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। গলায় আই ডি কার্ড ঝুলানো নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। পুজা চলাকালীন সময়ে সড়কে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের সাথে সমন্বয় করে রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। পূজা মন্ডপের আশ পাশে দোকানপাট বা কোন ধরনের মেলা বসানো যাবে না। বেশি রাত পর্যন্ত পূজার কার্যক্রম চালানো যাবে না এমন বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আরো বলেন, সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আসন্ন দূর্গাপুজা উদযাপন করতে পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, র্যাব বাহিনী ও সাংবাদিক সমাজ সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।