আন্তর্জাতিক ডেস্কঃইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। ১৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নৌ চলাচল নির্বিঘ্ন’ রাখতে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ প্রধান কয়েকটি শহরে কিছু বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা সামরিক ফাঁড়ি ও একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ঘটতে দেখেছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, এই হামলায় উড়োজাহাজ ও যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনী হুতিদের মালিকানাধীন অস্ত্র ব্যবস্থা, ঘাঁটি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে প্রায় ১০০টি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। এসব হামলায় দুটি জাহাজ ডুবে গেছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে হুতি।
লোহিত সাগরে জাহাজের ওপর হামলার পাশাপাশি সরাসরি ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুতিরা। গত জুলাই মাসে ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ড্রোন তেল আবিবের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে এক ব্যক্তি নিহত ও ১০ জন আহত হন।
তার আগে গত মাসে হুতিরা ইসরায়েলে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর মধ্যে ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি হামলা চালানো হয়।
এ ছাড়া গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) হুতিরা ইয়েমেনের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীও তাদের একটি চালকবিহীন উড়োজাহাজ হারিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
সূত্র: রয়টার্স