সিটিজেননিউজ ডেস্কঃপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, সুন্দরবনে ২০১৮ সালের তুলনায় চলতি বছরের জরিপে বাঘ বেড়েছে ১১টি। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪’ এর ফলাফল ঘোষণা করে তিনি এ তথ্য জানান।
বনের ২,২৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই জরিপ চালানো হয়। জরিপটি পরিচালিত হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারি, এপ্রিল, নভেম্বর এবং ২০২৪ সালের মার্চে। জরিপের অংশ হিসেবে বনে স্থাপন করা হয় মোট ৬৫৭টি ক্যামেরা। ক্যামেরার পাশ দিয়ে বাঘ হেঁটে যাওয়ার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি ওঠে। ক্যামেরায় ওঠা মোট ৩১,৪৮২টি ছবির মধ্যে বাঘের ছবি ছিল ৭,২৯৭টি।
ক্যামেরা ছাড়াও সুন্দরবনের ১,৩০৬ কিলোমিটার খালপাড়ে সরেজমিনে জরিপ পরিচালনা করা হয়। বাঘের পায়ের ছাপ গুনে বাঘের সংখ্যা ও ঘনত্ব পরিমাপ করা হয়। জরিপে প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২.৬২টি বাঘের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ক্যামেরায় মোট ৮৪টি বাঘের ছবি পাওয়া গেছে। বাকি ৪১টি বাঘ খাল জরিপের মাধ্যমে পাওয়া গেছে।
জরিপ সম্পর্কে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এবারের জরিপে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাঘ শাবকের ছবিও পাওয়া গেছে। তবে সেগুলো জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এবারের জরিপে ২১টি বাঘ শাবকের ছবি পাওয়া গেছে। আগের জরিপগুলোতে ৫টি করে বাঘ শাবকের ছবি পাওয়া গিয়েছিল। তবে এগুলোকে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। কারণ বাঘ শাবকের মৃত্যুর হার অনেক বেশি।”
তিনি বলেন, “প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন-আইইউসিএন বাঘকে বাংলাদেশের অতিবিপন্ন প্রাণি হিসেবে উল্লেখ করেছে। ২০১৩ সালে বিশ্বে ১৩টি টাইগার রেঞ্জ কান্ট্রি ছিল। এখন বিশ্বের ১০টি দেশে বাঘ অবশিষ্ট আছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ আছে।