ক্রীড়া ডেস্কঃ রাগে-অভিমানে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাড়া দিয়ে ফিরেও এসেছিলেন। তবে সেই ফেরাটা হলো না দীর্ঘস্থায়ী। আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই পাক পেসার।
পোস্টে আমির লেখেন, ‘ভেবেচিন্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তগুলো কখনই সহজ নয়। কিন্তু অনিবার্য। আমি মনে করি, পরবর্তী প্রজন্মের দায়িত্ব নেওয়ার সময় হয়েছে এবং পাকিস্তান ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার এটাই সঠিক সময়।
এক সময় পাকিস্তানের পেস বোলিংয়ের কর্ণধার ছিলেন আমির। ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা ও ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতাতে দলের হয়ে বড় অবদান রাখেন বাঁহাতি পেসার।
২০২০ সালে একবার অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন আমির। কিন্তু ২০২৪ সালে অবসর ভেঙে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। খেলতে যান গেল জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
কিন্তু সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফর্ম করে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেন আনপ্রেডিক্টেবলরা। ভালো করতে পারেননি আমিরও। অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে গিয়ে হারের দায় আমিরের ওপর চাপিয়েছেন। এই বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচে মাত্র ৭ উইকেট শিকার করেন তিনি। যা আমিরের নামের সঙ্গে বেমানান।
আমির জাতীয় দলের সর্বশেষ খেলেছিলেন বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে। এরপর আর দলে জায়গা পাননি। পরিস্থিতি বুঝে বাঁহাতি পেসার নিলেন অবসর।
ক্যারিয়ারের শুরুতে দুরন্ত গতিতে বোলিং করে ক্রিকেটবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন আমির। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে গতির ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে খেলা শুরু করা এই তারকা ২০১০ সালে জড়িয়ে পড়েন ফিক্সিংকাণ্ডে। এরপর যুক্তরাজ্যে ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করেন তিনি। আমিরকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞাও দেয় আইসিসি।
দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৫ সালে ফের সব ফরম্যাটের ক্রিকেটে ফেরেন আমির। পাকিস্তানের হয়ে ১৫৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২৭১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
এর আগে গতকাল শনিবার অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে অবসর নিলেন পাকিস্তানের দুই তারকা। ইমাদও দ্বিতীয়বারের মতো অবসর ঘোষণা করেছিলেন।