সিটিজেন প্রতিবেদকঃ ঋণ অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক পিএলসিকে একীভূত করবে না এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসি (এক্সিম ব্যাংক)। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের এই তথ্য জানিয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক যে উদ্যোগ নেয়, তারপর এটিই ছিল দুটি ব্যাংকের একীভূত হওয়ার প্রথম সিদ্ধান্ত। এরপর একীভূতকরণ–সংক্রান্ত নীতিমালাও জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এরপর ১৮ মার্চ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকে পদ্মা ব্যাংক আমানত সংগ্রহ কার্যত বন্ধ আছে। নতুন ঋণ দিচ্ছে না। পুরোনো ঋণ তদারকি এবং শাখা পর্যায়ে দৈনন্দিন ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে।
চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে এক আলোচনাতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্বল ব্যাংক একীভূত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। একীভূত হওয়ার লক্ষ্যে ভালো ও দুর্বল ব্যাংকের এমডিদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরুরও পরামর্শ দেওয়া হয় ওই বৈঠকে।
এরপর ৪ মার্চ ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠকে তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, চলতি বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে সবল বা ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছায় একীভূত না হলে আগামী বছর থেকে তাদের চাপ দিয়ে একীভূত করা হবে। এরপর বেশ কয়েকটি ব্যাংকের একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
২০১৩ সালে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে অনুমোদন পায় সাবেক ফারমার্স ব্যাংক। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকের মধ্যে এই ব্যাংকেই বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে কার্যক্রম শুরুর কয়েক বছরের মধ্যে। এরপর ব্যাংকটির পর্ষদে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। ফারমার্স ব্যাংকের নাম বদলে করা হয় পদ্মা ব্যাংক। ২০১৭ সালে ব্যাংকটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত হয় সরকারি একাধিক ব্যাংক ও সংস্থা।
অন্যদিকে এক্সিম ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। বর্তমানে এটি ইসলামী ধারার একটি ব্যাংক। ২০০৪ সালে ব্যাংকটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।