নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।
রাজধানীর বনানীতে মেয়রের বাসভবনে শনিবার (২০ জুলাই) এক বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভারপ্রাপ্ত রিপ্রেজেনটেটিভ ড. এ এ এডউইন স্যালভেডরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র।
ফিলিপাইন থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট দিয়েছি। যেমন আমাদের ওষুধগুলো কার্যকর কি না তারা পরীক্ষা, ওষুধে কোনো পরিবর্তন দরকার কি না, নতুন ওষুধ প্রয়োজন হবে কি না, এসব বিষয়ে আমাদের দ্রুততম সময়ে জানাবেন তারা। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি। তবুও আশপাশের অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো অবস্থানে আছি। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে। এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আমরা সচেতন হলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব।’
সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা বাইরের ময়লায় বা ড্রেনে হয় না। এটা হয় পরিষ্কার সাদা পানিতে। এ রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। আমরা গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার ৩৩ হাজার বাড়িতে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করেছি। এটি ধ্বংস করার উপায় শিখিয়ে দেয়া সত্ত্বেও দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে পরে সেই বাড়িতে পরিদর্শনে গেলে পূর্বের একই পরিস্থিতি দেখতে পাই।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মেয়াদোত্তীর্ণ বা অকার্যকর ওষুধ ব্যবহার সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘লিমিট অ্যাগ্রো প্রডাক্ট লিমিটেড নামের কোনো ব্ল্যাক লিস্টে থাকা প্রতিষ্ঠান থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ওষুধ কেনে না। নৌবাহিনীর একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সরকারি সেই প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা ওষুধ সংগ্রহ করি। এরপর পৃথক তিনটি ল্যাবে পরীক্ষার পর আমরা সেগুলো বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছে পাঠাই। তারা অ্যাপ্রুভাল দিলে সেগুলো ব্যবহার করি।’
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর এডউইন স্যালভেডর বলেন, ‘দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এলার্মিং; তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একযোগে কাজ করবে।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিওএইচও এর হেলথ ইমার্জেন্সি দলের সদস্য হাম্মাম এল সাক্কা, আইভিডি ইম্যুনাইজেশন ভ্যাক্সিন ডেভেলপমেন্টর রাজেন্দ্র বোহরা, ঢাকার বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।