সিটিজেন প্রতিবেদক: মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলা যাবে না। দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউ ইউর্কের গোলামি করবার জন্য নয়। এই অপতৎপরতা বন্ধ না হলে দেশপ্রেমিক জনতাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে।
আজ শনিবার এসব কথা বলেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নারী অধিকার বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দাবিতে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, একাত্তর সালে মুক্তিযোদ্ধারা বলেছিলেন, আমরা পিন্ডির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়। ২৪ এর জুলাইয়ের স্বাধীনতা সংগ্রামের পর আমি বলতে চাই, আমরা দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউ ইউর্কের গোলামি করার জন্য নয়। যদি বাংলাদেশকে ওয়াশিংটনের দাসে পরিণত করার কোনো চক্রান্ত করা হয়, হিউম্যানিটেরিয়ান করিডোরের নামে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হরণ করার জন্য অপতৎপরতা চালানো হয়, তাহলে সারাদেশের মানুষের প্রতি আমার আহ্বান, যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও। দেশের জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও।
হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলি, ড. ইউনূসের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদি আমলে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে আমাদের, সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না। ড. ইউনূস আপনি কি সেই কথা ভুলে গেছেন, কয়েক মাস আগেও আমাদের সামনে আদালত পাড়ায় ঘুরতেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার না হয় তাহলে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের যা করতে হয় তাই করবে।
নারী অধিকার সংস্কারের নামে আল্লাহর কোরআনকে, ইসলামকে কটাক্ষ করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ধর্মীয় উত্তরাধিকার বিধান, পারিবারিক বিধানকে নারী-পুরুষের বৈষম্যের প্রধান কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করে নারী বিষয়ক কমিশন এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেখতে চাই। হেফাজতে ইসলাম বলতে চায়, এই তথাকথিত পশ্চিমা ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসী, বিতর্কিত নারীবাদীদের আদর্শ ও দর্শন নয় বরং হেফাজতে ইসলাম ইসলাম প্রদত্ত, আল্লাহ ঘোষিত নারীর ন্যায্য অধিকারে বিশ্বাসী।