স্পোর্টস ডেস্ক: ক্লাব বিশ্বকাপে ঘটলো বর্ণবাদের ঘটনা। রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার অভিযোগ করেছেন, পাচুকার বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ের শেষ মুহূর্তে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জাবি আলোনসোও জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক ফিফা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল বস জাবি আলোনসো খোলাসা করেছেন বিষয়টি। জানান, তার ডিফেন্ডার রুডিগার অভিযোগ করেছেন মাঠে পাচকার অধিনায়ক ক্যাব্রালের কাছ থেকে বর্ণবাদের আচরণের শিকার হয়েছেন তিনি। বিষয়টি রেফারিকেও জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ইতিমধ্যে ফিফার কাছে নালিশও করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বিশ্বফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাও শুরু করেছে তদন্ত। অতীতে ফুটবলে বর্ণবাদী আচরণ সাধারণ ঘটনা হলেও বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে সোচ্ছার ফিফা। তদন্তে ঘটনার সত্য প্রমাণিত হলে বড় ধরনের শাস্তির মুখে পড়তে হয় খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের।
রোববার রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে জাবি আলোনসো বলেছেন, ‘আমরা টনিকে (অ্যান্টোনি রুডিগার) সমর্থন করি এবং কী ঘটে সেটা দেখার বিষয়। ফিফা তদন্ত করছে এবং আমরা তাকে সমর্থন করি।’ এছাড়াও বর্ণবাদ নিয়ে রিয়াল বস আরও বলেন, ‘রুগিডার যা বলেছে তা আমরা বিশ্বাস করি।’
যদিও রুডিগারের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাড়কার অধিনায়ক গুস্তাভো ক্যাব্রাল। ম্যাচ শেষে বিষয়টি নিয়ে আর্জেন্টাইন বলেন, ‘আমরা লড়াই করছিলাম। তিনি একটি লাথি পেয়েছেন এবং বলেছিলেন যে আমি তাকে আমার হাত দিয়ে আঘাত করেছি। তার পরও এটিতে যুক্তি ছিল। পরে রেফারি বর্ণবাদের লক্ষণ তৈরি করেছিলেন। অথচ এমন কিছুই ঘটেনি।’
তবে ক্যাব্রাল জানিয়েছেন, তিনি রুডিগারকে আর্জেন্টাইন ভাষায় একটি শব্দ বলেছিলেন। যা আর্জেন্টাইনরা সারাক্ষণ বলে থাকে। তিনি বলেন, ‘আমি কেবল একটি শব্দ বলেছি। যা আমরা আর্জেন্টিনায় সারাক্ষণ বলি (শব্দটি বলে কাউকে কাপুরুষ বলে অভিহিত করা হয়)। আমি তাকেও একই কথা বলেছিলাম এবং এটি সেখানেই শেষ হয়েছিল। ড্রেসিংরুমেও আমরাও কিছুটা তর্ক করেছি, এর চেয়ে বেশি কিছু না।’