বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০৮:০৯ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::

ঋণে ছাড় দিচ্ছে দাতা সংস্থা, কারণ জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
  • ০ বার পঠিত

সিটিজেন প্রতিবেদক: ঋণদাতা সংস্থাগুলো ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এর নেপথ্যে রয়েছে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।

বুধবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীদের আস্থা আরও বেশি কীভাবে আনা যায় আমরা দেখব। মোটামুটি ব্যবসায়ীদের আস্থা কিন্তু আছে। আমরা যখন ফরেন এক্সচেঞ্জ ওপেন করি (ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া) তখন আমাদের অনেক টেনশন ছিল, হঠাৎ কী হয়। পাকিস্তানের মতো হয়ে গেলে তো আমাদের জন্য বিপদ। কিন্তু সেটা হয়নি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, অর্থনৈতিক সংস্কার রাজনীতির ওপর নির্ভর করে। রাজনীতি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে এমন কিছু ঘটে যায়নি যে এখন হবে না। এখন তো মোটামুটি এগ্রিড একটা সময় আসছে ইলেকশনটা কখন হবে। সবাই মোটামুটি সন্তুষ্ট, সবাই সন্তুষ্ট। এখন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা…। ওরা চিন্তা করছে, বাইরে থেকে কথা হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে হবে কি না। আমরা তো বলছি হবে। আমি যখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে যাই, তখন আমাকে এ প্রশ্ন করেছিল।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগটা এখন স্লো আছে। ওরা লক্ষ্য করছে ফরেন এক্সচেঞ্জ স্থিতিশীলতার জন্য। এখন তো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটু বেড়ে গেছে। অতএব মোটামুটি আমাদের দেশে রেগুলেটরিটি বিষয়টা ঠিক থাকলে ডেফিনেটলি বিনিয়োগ বাড়বে।

বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ক্রয় কমিটির বৈঠকে গম কেনা হয়েছে। ফরচুনেটলি গমের দাম কমে গেছে। এই কেনাকাটায় ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। চাল-গমের যে রিজার্ভ আছে সেটা এখনো সন্তোষজনক। তবুও আমরা বলেছি ৫০ হাজার টন গম এনে রাখার জন্য। যাতে খাদ্যের কোনো শর্টেজ না হয়।

তিনি বলেন, হরমুজের কারণে কোনো প্রভাব পড়েনি। যুদ্ধের ভেতরেও জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে যে প্রাইস ছিল সেটা যুদ্ধ বন্ধের পর কমেছে। ইমিডিয়েটলি আমরা রিটেন্ডার করে ৫ থেকে ১০ ডলার কম পেয়েছি। সেখানে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটা এনার্জি মিনিস্ট্রির একটা ক্রেডিট। মরক্কো, তিউনিশিয়া থেকে আসা সারের দাম কিছুটা বেড়েছে। এখানে কোনো উপায় ছিল না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com