হাফসা : উত্তরায় বসবাসরত ও কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য ফল উৎসবের আয়োজন করেছেন নাগরিক টেলিভিশনের উত্তরা প্রতিনিধি মোঃ মাসুদ পারভেজ। সাথে যুক্ত ছিলেন চ্যানেল এস এর রিপোর্টার কে আর খান মুরাদ।
অনুষ্ঠানে নাগরিক টেলিভিশনের রিপোর্টার মোঃ মাসুদ পারভেজ অন্যান্য সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে দীর্ঘদিন
অসুস্থ্য থাকা সাংবাদিক মনির হোসেন জীবনের চিকিৎসার জন্য তার হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন।
সাংবাদিকদের রুচিশীল আয়োজন ফল উৎসবের সুবাসে আজ মুখরিত ছিল উত্তরার “ভূতের আড্ডা” প্রাঙ্গণ।
ব্যতিক্রমী এ ফল উৎসব হয়ে উঠেছে সাংবাদিকদের মিলন মেলা।
অনুষ্ঠানে আগত সংবাদ কর্মীদের চোখে মুখে ছিলো আনন্দের চাপ। দীর্ঘদিন পর এক সাথে মিলিত হতে পেরে নারী সাংবাদিকসহ সবার মাঝে জাগে অনন্য এক অনুভূতি।
সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ ও মুরাদ খানের যৌথ আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে উত্তরার টেলিভিশন মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা ফল উৎসবে মিলিত হয়। অনেকে বলেন,এ ফল উৎসবের মাধ্যমে তাদের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়,
অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে বিভিন্ন ধরনের দেশী ও বিদেশি ফলের সাজানো পসরা।
আম, কাঁঠাল, লিচু,জাম, আনারস, কলা,গাভ,লটকন,আমলকি,
আপেল, তরমুজ, মাল্টা, কলাসহ নানান ধরনের সু-স্বাদের ফল দিয়ে সাজানো হয়েছিল পুরো অনুষ্ঠানের টেবিল। ফল উৎসবে এসে সাংবাদিকরা শুধু ফল আস্বাদনই করেননি, বরং একে অপরের সাথে খোশগল্পে মেতে উঠেছিলেন। আলাপ করেছেন নিজেদের সুখ দুঃখে কথা।
কর্মব্যস্ততার ফাঁকে এমন একটি প্রাণবন্ত আয়োজন সাংবাদিকদের মনে এনে দিয়েছিল এক অন্যরকম প্রশান্তি।
আয়োজক মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেন, “আমরা সাংবাদিকদের মাঝে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক,বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তুলতে এমন আয়োজন করেছি।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত কর্মজীবন নিয়ে নানান ব্যস্ততার মধ্যে থাকে। এর মধ্যে ও কিছুটা সময় বের করে একে অপরের সাথে আরও বেশি পরিচিত হতে পারেন এটিই ছিল এই মিলনমেলার একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক সমাজ যুগ যুগ ধরে সমাজের নির্যাতিত মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। তারা অন্ধকার রাতের জোনাক পোকার মতো সমাজে আলো ছড়ায়। সাধারণ মানুষ যেন গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট হইতে উপকৃত হতে পারে এ বিষয়ে আরো বেশী অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে হবে।
মুরাদ খান বলেন, “গণমাধ্যম কর্মীরা সমাজের দর্পণ। তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি খুবই জরুরি। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা সেই বন্ধনকে আরও মুজবুত করতে চেয়েছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক সাংবাদিক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানান, এমন আয়োজন তাদের মধ্যে ভাতৃত্বের বন্ধন বাঁড়াতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রত্যাশা করেন।
তিনি আরো বলেন,এই ফল উৎসব ও সাংবাদিকদের মিলনমেলা উত্তরার সাংবাদিকদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সু-সম্পর্ক তৈরিতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।