আন্তর্জাতিক ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নিজেদের আকাশপথ আংশিক বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আকাশপথ আংশিক বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আকাশপথে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার ১১টি রুটের মধ্যে তিনটি রুট বন্ধ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ভারতীয় আধা-সামরিক বাহিনীর গাড়ি বহরে জঙ্গি হামলায় ৪০ জওয়ানের প্রাণহানির পর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে যুদ্ধবিমান থেকে অভিযান চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী।
ওই অভিযানের একদিন পর দুই দেশের আকাশসীমায় পাল্টাপাল্টি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, তারা ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুটি বিমান ভূপাতিত এবং একজন পাইলটকে আটক করেছে। অপরদিকে ভারতের দাবি ছিল, তারাও পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
এমন পরিস্থিতি যেন আবারও না ঘটে সেজন্য আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে পাকিস্তান। সে সময় পুরোপুরিভাবেই বন্ধ করে দেওয়া হয় আকাশপথ। কয়েকদিন পরে আকাশপথ খুললেও তা ছিল আংশিক। গত মাসেই সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হয়েছিল। গত ১৫ জুলাই পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, সব ধরনের বিমানের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানের আকাশপথ।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রায় সাত দশক ধরে বিশেষ মর্যাদা পেয়ে আসছিল কাশ্মীর। কিন্তু হঠাৎ করেই গত সোমবার কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত।
ভারতের এমন পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, ভারতের এমন অবৈধ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে ইসলামাবাদ। শুধু তাই নয় ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ইসলামাবাদ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে দিল্লিতে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতকে ইসলামাবাদে ফেরত আসতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে ভারত বলছে, পাকিস্তানের ওপর তারা বিশ্বাস রাখতে পারছে না। তাই ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আগে বুধবার থেকেই দেশের ১৯টি বিমানবন্দরে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ওই তালিকায় রয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরও। এছাড়াও চারটি মেট্রো শহরের প্রতিটি বিমানবন্দরকেই রাখা হয়েছে বিশেষ নজরদারির তালিকায়।