ডেস্ক : মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে তানবীর সিদ্দীকা তামান্না (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।শুক্রবার রাতে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রাম থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।নিহত তামান্না ওই গ্রামের হারুন অর রশীদ ও ফিরোজা বেগম দম্পতির মেয়ে। সে বাগলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
থানা পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সুত্র জানায়, উপজেলার রতনপুর নিজ বাড়িতে শুক্রবার সকালে তামান্না তার ছোট ভাইকে মারধর করে। এরপর মা তামান্নাকে বকাঝকা করেন।
পরে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে পরিবারের অন্যান্য নারীরা দুপুরের রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকার ফাঁকে আপন চাচার বসতঘরের মধ্য কক্ষের দরজা বন্ধ করে তামান্না আড়ার সঙ্গে গলায় ওরনা লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
তামান্নার মা ফিরোজা বেগম শুক্রবার রাতে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি আমার মেয়েকে তো তেমন কোনো কঠোর ভাষায় গালমন্দ করিনি। ছোট ছেলেকে শান্তনা দিতে গিয়ে কিছুটা শাসনের সুরে কথা বলেছি। কিন্তু কে জানত তামান্না তাতে অভিমান করে আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চিরতরে চলে যাবে।
উপজেলার বাগলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ চন্দ্র বলেন, তামান্নার বাবা বাগলী বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত কাপড় ব্যবসায়ী। তিনি তার সব সন্তানদের লেখাপড়া করানোর পাশাপাশি স্নেহ করতেন। আসন্ন ঈদের আগে তামান্নার অকালমৃত্যুতে গোটা এলাকাবাসীসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর শোক বিরাজ করছে।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান
কে বলেন, মায়ের সঙ্গে অভিমান করেই কিশোরী তামান্না আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছি।