ডেস্ক : বরগুনার আলোচিত রিফাত হ’ত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হিসেবে গ্রেফতার হওয়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে আদালতে হাজির করা হয় গত বুধবার।
গ্রেপ্তারের পর কয়েকদফা আদালতে নেয়া হয় মিন্নিকে। ১৪ আগস্ট এনটিভি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে মিন্নিকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রচার করে। সেখানে দেখা যায় মিন্নিকে পুলিশি পাহারায় প্রিজন ভ্যানে থেকে নামানোর সময় পুলিশের উদ্দেশে মিন্নি বলে উঠেন, ‘আরেকটু আস্তে ধরুন’।
অন্যদিকে মিন্নির জামিনের বিষয়ের হাইকোর্ট বলেছেন, এ পর্যায়ে আসামিদের ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেখে আমরা তার জামিন দেব না। আমরা সর্বোচ্চ তার জামিন প্রশ্নে একটা রুল জারি করতে পারি।
রিফাত হ’ত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছেন- রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়, সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবণ, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল সিকদার ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। এদের মধ্যে রাতুল শিকদারের বয়স কম হওয়ায় সে যশোরে শিশু-কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে রয়েছেন।
মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচনম্বর আসামি মুসা বন্ড, সাত নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, আট নম্বর আসামি রায়হান ও ১০ নম্বর আসামি রিফাত হাওলাদারকে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ব’ন্দুকযু’দ্ধে নিহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২৬শে জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেয়ার পর তিনি মা’রা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হ’ত্যা মামলা করেন।