নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: আজ শুক্রবার শুভ জন্মাষ্টমী। হিন্দু ধর্মাম্বলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। সনাতনশাস্ত্রীয় মতে বিশ্বচরাচর থেকে দুষ্টুদের দমন করে সাধুদের রক্ষার জন্যই শ্রীকৃষ্ণ ভাদ্র মাসের রোহিণী নক্ষত্রের অষ্টম দিনে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন।
৫ হাজার ২৪২ বছর আগে ভারতের মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। সেই থেকে তার পৃথিবীতে আবির্ভাব। এই তিথিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করে আসছেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন পরোপকারী, প্রেমিক, রাজনীতিক ও সমাজসংস্কারক। সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন। সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও মৈত্রীর বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তা জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে কাজে লাগানোর জন্য আমি দেশের সব ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে হিন্দু ধর্মের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সকল ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবের মূলবাণী মানুষে মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও শুভেচ্ছাবোধ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণও একই উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়ে জনসমাজে বিরাজমান অন্যায়কে পরাস্ত করে শান্তি ও কল্যাণ স্থাপন করেন। বাংলাদেশেও অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে গণতন্ত্রের শুভশক্তির উত্থান ঘটাতে হবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের। শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে। শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনের উৎসব ও আরাধনা নির্বিঘ্ন করতে জন্মাষ্টমীর দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন এরশাদ। এছাড়াও হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। আশা করছি, আগামী দিনে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য আরও সুদৃঢ় হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি দিনটি উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে দুদিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে। শুক্রবার সকাল আটটায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ, বিকাল তিনটায় হবে জন্মাষ্টমীর র্যালি।
মিছিলটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির হয়ে পলাশী বাজার-জগন্নাথ হল-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাইকোট-জাতীয় প্রেসক্লাব-পল্টন-শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার-গোলাপ শাহ মাজার-গুলিস্থান মোড়-নবাবপুর রোড-রায় সাহেব বাজার-বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে। র্যালির উদ্বোধন করবেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন। প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।