আন্তর্জাতিক ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ:মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেয়া ভারতের ইসলামিক বক্তা ও বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েককে দেশে ফেরানোর এখনই সময় বলে মনে করছে ভারত। সেই লক্ষ্যে রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে তিনি দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক করেছেন নরেন্দ্র মোদি।
আজ শুক্রবার ইস্টার্ন ইকনোমিক ফোরামের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বৈঠকে জাকির নায়েককে ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি উত্থাপন করেন নরেন্দ্র মোদি। এ ব্যাপারে দুই দেশই একমত হয়েছে যে, যেহেতু এটি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, তাই এ নিয়ে ভারত ও মালয়েশিয়ার অফিসাররা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগে থাকবেন।
২০১৬ সালে ভারত থেকে পালিয়ে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেন জাকির নায়েক। তাকে ফেরত পাওয়ার জন্য নয়াদিল্লি বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। তবে সম্প্রতি মালয়েশিয়া সরকারের রোষানলে পড়েছেন জাকির নায়েক। গত মাসের ৮ তারিখ এক সভায় সেখানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দু এবং চীনা বংশোদ্ভূত নাগরিকদের উদ্দেশে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন তিনি।
মালয়েশিয়ার কেলানতানে অনুষ্ঠিত ওই ধর্মীয় আলোচনায় জাকির নায়েক বলেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের চেয়ে মালয়েশিয়ার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ১০০ গুণ বেশি অধিকার ভোগ করছে। প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ার ৬০ শতাংশ মুসলিম বাদে বাকি ৪০ শতাংশ মানুষের অধিকাংশই চীনা ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তার এমন মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়। পরে অবশ্য এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন জাকির নায়েক।
ওই বক্তব্যের প্রিক্ষিতে তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার দাবি তুলে মালয়েশিয়ার তিন মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার মুসলিমদের সঙ্গে অমুসলিমদের দূরত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেছেন জাকির নায়েক।
পুলিশ এ নিয়ে তাকে এক দফা জেরাও করেছে পুলিশ। তারপরই জাকির নায়েকের বক্তৃতার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মালেশিয়া সরকার। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই তার বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেয়া বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে জাকির নায়েককে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাইছে ভারত।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা