নিজস্ব প্রতিবেদক: ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে মূল সড়কসহ অলিগলির সব সড়কেই অবস্থান নিয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
রোববার (১২ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পরই মুসল্লিদের অনেকেই রওয়ানা হন ইজতেমা ময়দানের দিকে। উত্তরাগামী যান চলাচল সীমিত করায় অধিকাংশ মুসল্লিকে ইজতেমা ময়দানে পায়ে হেঁটে যেতে হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তরা ৫নং সেক্টর থেকে শুরু করে আব্দুল্লাপুর, টঙ্গীর প্রধান সড়কে লাখো মুসল্লির ভিড়। তাদের পদচারণা আর আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে প্রকম্পিত চারপাশ।
আব্দুল্লাপুর থেকে শুরু করে ইজতেমা ময়দান পর্যন্ত যেন হেঁটে চলারও জায়গা নেই। সে কারণে মুসল্লিরা যে যেখানে পারছেন বসে পড়েছেন। আব্দুল্লারপুর থেকে টঙ্গী ছাড়িয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ বিশ্ব রোডের দুই কিলোমিটার রাস্তায় মুসল্লিরা বসে পড়েছেন।
অন্যদিকে ইজতেমায় ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ আব্দুল্লাপুরের আগেই ঢাকা-ময়মনসিংসহ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ভোর ৪টার পর মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন গ্যাপ, প্রগতি সরণি, কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২, ধউর ব্রিজ, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন উত্তরা ১৮নং সেক্টরের প্রবেশ মুখে ডাইভারসন করেছে ট্রাফিক বিভাগ।
মোনাজাত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ডাইভারশন চলাকালে বিমানের অপারেশনস ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিস, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহনের চালককে বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহারে অনুরোধ জানিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।
যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রেইনবো ক্রসিং হতে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ হতে প্রগতি সরণি পর্যন্ত রাস্তা ও রাস্তার পার্শ্বে কোনো যানবাহন পার্কিং করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যানবাহনসমূহ রাখার জন্য গাউসুল আজম এভিনিউ (১৩ নং সেক্টর রোডের পূর্বপ্রান্ত হতে পশ্চিমপ্রান্ত হয়ে গরিবে নেওয়াজ রোড), সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা হতে দিয়াবাড়ি খালপাড় পর্যন্ত, উত্তরাস্থ ১৫নং সেক্টর খালপাড় হতে দিয়াবাড়ি গোলচত্বর পর্যন্ত, উত্তরাস্থ ১৭ ও ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা (প্রধান সড়কসহ), প্রত্যাশা হাউজিং, ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন ও উত্তরাস্থ শাহজালাল এভিনিউ, নিকুঞ্জ-১ এবং নিকুঞ্জ-২ এর আশপাশের খালি জায়গায় পার্কিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।