শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই-আগষ্ট শহীদদের আত্মাহুতি ভুলে যাওয়ার নয়;মির্জা ফখরুল ২০ শতাংশ শুল্ক সরকারের আরেকটি সফলতা : আসিফ নজরুল লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ শুরু ২৭ নভেম্বর ইরানের জাহাজ নেটওয়ার্ককে লক্ষ্য করে বড় নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের এটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় : প্রধান উপদেষ্টা ট্রাস্টি বোর্ডের স্ব-ঘোষিত চেয়ারম্যান তানিমের অব্যাহতির দাবিতে ইউজিসিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন জুলাই সনদ নিয়ে আজকেই নিষ্পত্তির জায়গায় পৌঁছাতে চাই: আলী রীয়াজ আজ ইসিতে দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমার শেষ দিন সংস্কারের অধিকার কেবল নির্বাচিত সরকারের: মঈন খান যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তিতে তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের লাতিন আমেরিকা সফর স্থগিত

জুলাই-আগষ্ট শহীদদের আত্মাহুতি ভুলে যাওয়ার নয়;মির্জা ফখরুল

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত

হাফসা: জুলাই-২৪ গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সমাবেশের আয়োজন করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।আজ ১লা আগষ্ট ২০২৫ ইং তারিখ
শুক্রবার বিকালে উত্তরা আজমপুর এলাকায় শহীদদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস লন্ডনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দেশবাসীর কাছে কথা দিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিবেন। প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি কথা দিয়েছেন, আমরা আশাকরি আপনি কথা রাখবেন। দেশের মানুষ সে আশাতেই বুক বেঁধেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, উত্তরা থেকে যেভাবে বড় মিছিল উঠেছিল, তাতে হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। এটাই প্রমাণ করে জনগণের শক্তিকে কেউ দমন করতে পারে না। ভোটাধিকার হরণ করলে পালিয়ে যেতে হবেই।

তিনি আরো বলেন, “এই দেশের মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে চায়। বছরের পর বছর ধরে সেই অধিকার হরণ করা হয়েছে।
গত জুলাই-আগষ্টে আন্দোলনে শত শত প্রাণ ঝরে গেছে।
সমাবেশে উপস্থিত শহীদ জাফরুলের মা যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন তিনি কান্না আটকে রাখতে পারেননি। তাঁর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিল, কিন্তু খুনি হাসিনার পুলিশ বাহিনীর গুলিতে তার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন,আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংস করেছে। বিএনপি দেশ গঠন করতে চায়। আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে যেখানে কেউ ভোটের নামে নাটক করবে না, রাতের আঁধারে ভোট চুরি করবে না। আমরা জানি কারা আবার পেছন থেকে অনৈতিক কাজ করতে চায়। তাদের নজরে রেখেছি। তাদের পরিণাম ভালো হবে না। শহীদের রক্তের ঋণ কোনোদিন শোধ করা যাবে না,জুলাই-আগষ্টের শহীদদের আত্মাহুতি ভুলে যাওয়ার নয়।

তিনি বলেন,আমরা আশা করেছিলাম আন্দোলনের শহীদদের তালিকা তৈরি করে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও সে কাজ হয়নি। শহীদদের দাফনে বাধা, জানাজায় নিষেধাজ্ঞা এসব অন্যায় কর্মকাণ্ড যারা করেছে, তাদের বিচার একদিন হবেই।

তিনি আরো বলেন, “তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন। তিনি একটি সমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়বেন। আগামীর লড়াইটা মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর লড়াই।

শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজমপুরের এই স্থানে আমার সন্তানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হায়েনারা লাশ থানায় নিয়ে গিয়ে গুম করতে চেয়েছিল। অনেক কষ্টে আমরা লাশ ফিরে পেয়েছি। আমি চেয়েছিলাম তাকে উত্তরা ৪ বা ১২ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানে দাফন করতে, কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতারা বাধা দিয়েছে। পরে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সহায়তায় তুরাগের বামনারটেক কবরস্থানে দাফন করতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “আমি বি.বাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি চাই সরকার অবিলম্বে নির্বাচন দিক এবং নতুন সরকার এই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম চালিয়ে যাক।

যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম নীরব বলেন,
“জুলাই-আগস্টের শহীদদের তালিকা এখনো তৈরি হয়নি।গুটিকয়েক ব্যক্তি এই দেশের স্বাধীনতাকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মোস্তফা জামান বলেন, ডিএনসিসির কবরস্থানে শহীদদের দাফনে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের মসজিদে শহীদদের গোসল ও জানাজাও করতে দেওয়া হয়নি।

সভাপতির বক্তব্যে মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, জুলাই আন্দলোনের সময় “আমরা ২৬টি থানার ৭১টি ওয়ার্ড নিয়ে উত্তরা, বাড্ডা, মিরপুরে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। আমরা এখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক
এস এম জাহাঙ্গীর বলেন,আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা জুলাই আন্দোলনে অংশ গ্রহন করি। আমাদের ছাত্র-জনতা আজমপুরের এই এখানে খুন হয়েছে হত্যা হয়েছে, প্রতিটি হত্যার বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে।হাসিনার প্রেতাত্মাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসরদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবেই।

এম কফিল উদ্দিন বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন জুলাই-২৪ আন্দোলনে যারা আত্মাহুতি দিয়েছে তাদের স্মরণ রাখতে। আপনারা নিহত শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান।
তিনি আরো বলেন,
এই বাংলার মাটিতে চাঁদাবাজদের কোন ঠাই হবে না, এই উত্তরাতে যারা চাঁদাবাজি করবে যারা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত হবে এমন তথ্য আমাদের কাছে আশা মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। আমরা সবার উপরে নজরদারি রাখছি ভাই ভাই করে পাশে পাশে ঘুরলেই হবে না,কাজ করতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন,
সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি ও যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম নীরব।
আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম- আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, মোঃ আফাজ উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির আজমল হুদা মিঠু, মাসুদ রানা, আব্দুস সালাম, আওলাদ হোসেন, মোঃ মোস্তফা সরকার।তুরাগ থানা বিএনপির হারুন অর রশিদ খোকা,আলমাছ আলী চান মিয়া বেপারীসহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের শিমুল আহমেদ , শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com