নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে গণ অধিকার পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে এ ধরনের ঘটনা বাড়তে পারে। এ কারণে আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানুয়ারিতেই নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
রাশেদ খান আরো বলেন, বর্তমান প্রশাসনকে পরিবর্তন না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভবপর নয়। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচনে ‘ডামি মামি’ স্বতন্ত্র, অন্যদলের হয়ে কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলও নির্বাচন করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের মতো তাদেরও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক আন্দোলন। শিক্ষকদের দাবি মেনে না নিলে তাদের সঙ্গে নিয়ে যমুনা-সচিবালয় ঘেরাও করা হবে। শিক্ষকদের কষ্ট করে কোনো উপদেষ্টা গদিতে থাকতে পারবে না। সুতরাং কালক্ষেপণ না করে তাদের দাবি মেনে নিন।
লিখিত বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র হাসান আল মামুন বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদ গভীর উদ্বিগ্ন। বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেসব অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানায় গণঅধিকার পরিষদ। গণঅধিকার পরিষদ মনে করে, পতিত স্বৈরাচার দেশ অস্থিতিশীল করতে এসকল অগ্নিকাণ্ড ঘটাতে পারে। তাই সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে বিষয়টি সঠিক তদন্তের আহ্বান জানায় গণঅধিকার পরিষদ। এ ছাড়া দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানায় গণঅধিকার পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আজহার ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রিদওয়ান উল্লাহ খান প্রমুখ।