জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আর তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করছেন। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ এসব বলেন।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে বৈরি অবস্থায় বাংলাদেশে ফিরে শেখ হাসিনা তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নপূরণের কাজ শুরু করেন। আমরা সেদিন তার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছিলাম। যার ফলে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অপশাসনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানান আর আমাদের কারাগারে বন্দি করে নির্যাতন করেন। আমাদের হাতকড়া আর তখন যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা। স্বাধীনতার পর অনেকে বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যতার মডেল। কিন্তু আজ বিশ্বের সামনে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
শহীদ আসাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে আমরা কারাগার থেকে মুক্ত করেছিলাম। কিন্তু দিনটি ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকলেও আমরা যথাযথভাবে পালন করি না। পৃথিবীতে অনেক নেতা আসবেন, যাবেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো বিচক্ষণ নেতা বিরল। কারাগার থেকে মুক্ত করে এনে পল্টনের ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ থেকে আমরা জাতির পিতাকে কৃতজ্ঞচিত্তে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম।
পাকিস্তানি হানাদাররা বঙ্গবন্ধুর কারাগারের সামনে কবর খুঁড়ে রেখেছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মৃত্যুর ভয় করি না, বাঙালি জাতি হাসতে হাসতে জীবন দেবে, বাংলাদেশ স্বাধীন হবেই। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ভুট্টো। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশে ফেরত আসায় স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়।