নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবং কষ্টে থাকা মানুষের সহায়তায় উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভূমিকা কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে করপোরেশনকে পরামর্শমূলক একটি চিঠি দিয়েছেন বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল।
তাবিথ আওয়ালের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তাবিথ মনে করেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে সিটি করপোরেশনকে ঝুঁকি নিয়ে অতিসত্ত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
রোববার (১২ এপ্রিল) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ জামাল মোস্তফাকে চিঠিটি দেন তিনি। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছিলেন তাবিথ আউয়াল।
চিঠিতে তাবিথ বলেন, কষ্টে থাকা মানুষের খাদ্য সহায়তার জন্য ডিএনসিসি দুইটি হটলাইন চালু করলেও দরিদ্র ও নিঃস্ব মানুষ তাতে সংযোগ স্থাপন করতে পারছেন না। যে কয়েকজন হটলাইনে কথা বলেছেন, তাদের কাছে ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে নম্বর চাওয়া হয়েছে। কিন্তু খাদ্য সহায়তা তাদের কাছে পৌঁছায়নি। জাতীয় সংকট মুহূর্তে সিটি করপোরেশনকে মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানান তিনি।
বর্তমান বাস্তবতায় সিটি করপোরেশনের কী করা উচিত সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, হটলাইনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। কতগুলো ফোন গ্রহণ করা হয়েছে এবং কতজনকে সহায়তা করা হয়েছে, সে তথ্য প্রতিদিন ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। খাদ্য সহায়তার জন্য উত্তর সিটির জোনাল অফিসগুলোতে ফুড ব্যাংক গড়ে তুলে এস্টেট অফিসার, এনজিও ফাউন্ডেশন এবং করপোরেট রিটেইল অফিসারদের সহায়তা নিতে হবে। যেসব নাগরিক ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করতে ইচ্ছুক তাদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। বিভিন্ন বাজার এবং আবাসিক এলাকার প্রবেশদ্বার ও বের হওয়ার পথসহ প্রত্যেক এলাকায় হাত ধোয়া কেন্দ্র স্থাপন এবং সেখানে তাপমাত্রাও নির্ণয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তাবিথ আউয়াল আরও বলেন, কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় সিটি করপোরেশনের সব কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করা উচিত। হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য এবং আবাসিক এলাকা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ ও ধ্বংসে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে ব্যবহৃত সুঁচ, গ্লাভস, মাস্ক ও পিপিই যেন অবৈধভাবে আবার ব্যবহারে সুযোগ তৈরি না হয়।
তিনি বলেন, জাতীয় সংকটের এই সময়ে আমাদের সবারই কিছু না কিছু দায়িত্ব আছে। কিন্তু আমাদের সবার কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে সিটি করপোরেশনকে ঝুঁকি নিয়ে অতিসত্ত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, জনস্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তা-ই সিটি করপোরেশনের প্রধান ম্যান্ডেট।