শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৭ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারে সম্মত জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া রাশিয়ার ওপর আবার নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৩ বছর পর ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাধীনতা বিরোধীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সবার সতর্ক থাকা জরুরি : আমিনুল হক মাইলস্টোন স্কুলের আহত শিক্ষার্থীর পাশে “আমরা বিএনপি পরিবার” অবসরপ্রাপ্ত ৭৮ কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ যতোই চ্যালেঞ্জিং হোক, সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা এনবিআরের ৪১ অতিরিক্ত কর কমিশনার বদলি সম্প্রতি ফ্লাইটসমূহে কারিগরি ত্রুটির প্রেক্ষিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গৃহীত পদক্ষেপ

হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা চায় কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ছায়া শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০
  • ২১৯ বার পঠিত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষাখাতে সরকারের দৃশ্যমান অগ্রগতিতে কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সরকারী সুযোগ সুবিধা না নিয়েও দীর্ঘ দিন সরকারের অংশীদার হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে করোনার এই দুর্দিনে সরকারের নিকট হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দাবি করে কিন্ডার গার্টেন, ছায়া শিক্ষা ও সাংকৃতিক প্রতিস্ঠানের কেন্দ্রীয় সংগঠনের নেতারা।

আজ ২২শে মে বিকাল ৩ ঘটিকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রায় লক্ষাধিক কিন্ডারগার্টেন, ছায়া শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আছে। যেগুলো শতভাগ ভাড়া বাসায় পরিচালিত।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৫০ লক্ষ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছে। এসকল প্রতিষ্ঠান ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি দ্বারা পরিচালিত হয়। কখনও সরকারের সুবিধা ভোগ না করলেও সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৬ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে এ সকল প্রতিষ্ঠান কার্যত অচল হয়ে যায়। আয়ের উৎসও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দু’মাসের ভাড়া দেওয়াও সম্ভব হয় নি। এমনকি শিক্ষক ও স্টাফদের বেতন দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ৩ বা ৪ মাসের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ প্রতিষ্ঠান চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে উল্লেখ করে নেতারা আরও বলেন এই সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি রক্ষা করা সম্ভব না হয় তবে দেশের বেকার সংখ্যা কয়েক লক্ষ বেড়ে যাবে। এমন কি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সিংহভাগ ছাত্রছাত্রী যারা এসকল প্রতিষ্ঠানে পার্ট টাইম চাকুরী করে শিক্ষার ব্যয় নির্বাহ করত, তাদের শিক্ষা জীবনও হুমকির মুখে পড়বে।

যেহেতু এই সকল প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে চায় না তাই এখানে সরকারে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন উল্লেখ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট তিনটি দাবি পেশ করেন নেতারা। দাবি তিনটি হলো: ১. করোনা সংকটকালীন সময় মোকাবেলায় কিন্ডাগার্টেন স্কুল, ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এক হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা/প্রণোদনার ব্যবস্থা
২. বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেক শিক্ষক কর্মচারীকে একটি করে রেশন কার্ডের ব্যবস্থা।
৩. দুর্যোগকালীন সময়ে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষক কর্মচারীকে কমপক্ষে ৭০০০ টাকা সম্মানী ভাতা প্রদান করা.
হানিফ খানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফ্রিল্যান্সার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি শামসেয়ারা খান ডলি, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আরেফিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত ঢালী, ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মাহতাব উদ্দিন, মানস বোস বাবুরাম, বিপ্লব সরকার এবং মোঃ আবু তালেব প্রমুখ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com