নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং চট্টগ্রামে পশুর হাট না বসানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
হাটে না গিয়ে অনলাইনে পশু কেনাবেচার পরামর্শ দিয়ে দেশের অন্য জেলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষ থেকে বেশকিছু বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীমা নাসরীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে এ অনুরোধ করা হয়।
এতে বলা হয়, ঈদুল আজহা সামনে রেখে পশুর হাট স্থাপন করার ক্ষেত্রে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সুপারিশ করেছে। আর সংক্রমণের হার বেশি থাকায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে যেন পশুর হাট স্থাপন করা না হয়। এক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশু কেনাবেচার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অন্য জেলার জন্য পরামর্শ হলো-কোরবানির পশুর হাট শহরের ভেতরে স্থাপন না করা।
কোরবানির পশুর হাট খোলা ময়দানে বসানোর ব্যবস্থা করা। যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।
বয়স্ক ব্যক্তি (৫০ বছরের বেশি) এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের পশুর হাটে যাওয়া থেকে বিরত রাখা।
পশুর হাটে প্রবেশ এবং বের হওয়ার পৃথক রাস্তার ব্যবস্থা করা। হাটে আসা ব্যক্তিদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা।
কোরবানির পশু বাড়িতে জবাই না করে শহরের বাইরে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে নির্ধারিত স্থানে করার ব্যবস্থা করা।
অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে বাড়ির বাইরে কোরবানি দেওয়া সম্ভব হলে, তা করার জন্য উৎসাহিত করা।
একইদিন অপর এক চিঠিতে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম থেকে অন্যান্য জেলায় যাতায়াত বন্ধ রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।