ভারতে নারী-পুরুষের আনুপাতিক হারের উন্নতি ঘটেছে। তবে এখনও জীবদ্দশায় একটি হলেও পুত্রসন্তান কামনা করেন প্রায় ৮০ শতাংশ ভারতীয়। এমন চিত্র উঠে এসেছে ভারতের এক সরকারি জরিপে।
ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের (এনএফএইচএস-৫) সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, কন্যাসন্তানের চেয়ে পুত্রসন্তান কামনা করেন অধিকাংশ ভারতীয়। দেশটিতে সামাজিক ও পারিবারিক স্তরে এখনও একটি বিশ্বাস দারুণভাবে প্রচলিত যে, বংশের উপাধি বহন করবে পুরুষরাই। তারা পিতামাতাকে বৃদ্ধ বয়সে দেখাশোনাও করবে। অন্যদিকে, বিয়ের পর বাড়ি ছেড়ে চলে যায় কন্যাসন্তানরা। সেই সাথে, কন্যাসন্তানকে বিয়ে দিতে যৌতুক মারফত বড় অঙ্কের অর্থও খরচ হয়।
জরিপ পরিচালনাকারীরা বলছেন, এ ধরনের মনোভাবের জন্য প্রায় ১০০ বছর ধরে দেশটিতে নারীর তুলনায় পুরুষ বেশি। ২০১১ সালে পরিচালিত সর্বশেষ জরিপ অনুসারে প্রতি ১ হাজার পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা ৯৪০। একই বছর প্রতি ১ হাজার ছেলেশিশুর বিপরীতে মেয়েশিশুর সংখ্যা ৯১৮।
তবে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পরিচালিত এনএফএইচএস-৫’র জরিপ বলছে, জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে ঘটছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
প্রথমবারের মতো জরিপ দেখিয়েছে, ভারতে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি। দেশটির ১৬ শতাংশ পুরুষ ও ১৪ শতাংশ নারী জানিয়েছে, তারা কন্যাসন্তানের চেয়ে পুত্রসন্তানই বেশি কামনা করে। তবে, ২০১৫-১৬ সালে পরিচালিত জরিপে এসেছিল, ১৮.৫ শতাংশ নারী এবং ১৯ শতাংশ পুরুষই কন্যাসন্তানের চেয়ে পুত্রসন্তানই বেশি করে চান। অর্থাৎ, মনোভাবে পরিবর্তন আসছে। একটি পুত্রসন্তানের আশায় একের পর এক কন্যাসন্তান জন্ম দেয়ার যে প্রবণতা দেখা যায় অনেক ভারতীয় দম্পতির মধ্যে, পাল্টাচ্ছে সেই মনোভাবও।
সূত্র: বিবিসি