তাপমাত্রা নিয়ে ভয়ংকর দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে রয়েছে সুসংবাদও। আগামী দুইদিনে তাপমাত্রা কমে ৫ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। তখন জনজীবনে নেমে আসবে স্বস্তি।
বুধবার আবহাওয়া অধিদদফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে তীব্র শীতের বিদায়-ঘণ্টা বেজে যাবে। এরপর থেকেই বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী দুইদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমে ৫ ডিগ্রিতে নামতে পারে। এরপর আর তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে বাড়তে পারে।
এদিকে ২০১৮ সালে ৮ জানুয়ারি দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল তেঁতুলিয়াতে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল ৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২১ সালের তথ্যটা নেই। তবে গতবছর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়েই ছিল। আর সর্বশেষ এবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানা গেছে, বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে যা আপাতত অব্যাহত থাকবে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা ও দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টা দেশের কোথাও রেকর্ড করা হয়নি কোনো বৃষ্টিপাত।