চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার লড়াই। এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের প্রায় ১ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এ অবস্থায় হামাসের নির্বাসিত নেতা আলী বারাকেহ জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তাছাড়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এ সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলসহ বিদেশে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির জন্য গাজায় জিম্মি করে রাখা জিম্মিদের ব্যবহার করবে।
তিনি আরো বলেন, হামাসের কাছে বিপুল পরিমাণ রকেটের সংগ্রহ রয়েছে, যা দিয়ে লম্বা সময়ের জন্য যুদ্ধ চালানো যাবে। আমরা এই যুদ্ধের জন্য ও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত রয়েছি।
গত শনিবার সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার মিসাইল ছোড়ে। একইসঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত নয় শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
এদিকে পাল্টা আক্রমণের ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের সামনে কঠিন ও ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে। আমরা এরই মধ্যে সেটি নিশ্চিত করার পথেই রয়েছি এবং পাল্টা হামলা শুরু হয়েছে। এ সময় তিনি স্থানীয় মেয়র ও জনগণের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের সহায়তা করতে ইসরায়েল সব উপায়ই ব্যবহার করবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় মেয়র ও জনগণের সামনে দেওয়া বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যকে বদলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বলেন, আমি আপনাদের ধৈর্যের সঙ্গে নিজেদের অবস্থানে অবিচল থাকার অনুরোধ করছি। কারণ আমরা মধ্যপ্রাচ্যকেই বদলে দিতে যাচ্ছি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এমন হুমকি আসার আগেই অবশ্য হামাসের তরফ থেকে যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুসা আবু মারজুককে প্রশ্ন করা হয়, হামাস যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী কিনা। জবাবে তিনি বলেন, হামাস এমন যেকোনো ধরনের বিষয়ে আলোচনা ও রাজনৈতিক সংলাপের জন্য উন্মুক্ত।